বাংলাদেশ রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমিকার ১৯ দিন পর প্রেমিকের আত্মহত্যা

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১০:০৮ এএম

প্রেমিকার ১৯ দিন পর প্রেমিকের আত্মহত্যা

প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে ১৯ দিন পর প্রেমিক সিফাত (১৯) ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে নরসিংদীর শিবপুরের মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

মৃত্যুর আগে ফেসবুকে সর্বশেষ স্ট্যাটাসে সিফাত লিখেন, ‍‍`তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেল আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন এক সঙ্গে থাকতে পারি। শেষ ইচ্ছা; তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক।‍‍`

‍‍`আমি পরিস্থিতির শিকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না এমনকি আমার কোনো ভাই ব্রাদার বা বন্ধু ও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতেই হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আবার আত্মহত্যার চেষ্টা করমু। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না বেঁচে থেকে আর কী হবে যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নাই।‍‍`

নিহতের বাবা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাতো বোন খলিলের মেয়ে তানহা (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল রাত ২টার দিকে তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)। এসময় আঙ্গুর তানহাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কুপ্রস্তাব রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারি বিষয়ে মামলা চলমান আছে।


তিনি জানান, লোকলজ্জায় ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে গ্রামীণ সালিশ দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিশ দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলত এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

 


 

Link copied!

সর্বশেষ :