মহাকাশ অভিযানে এলন মাস্কের স্পেসএক্স আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করলো যা মহাকাশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে আনতে চলেছে বিপ্লবী পরিবর্তন। স্পেসএক্স তাদের সর্বশেষ স্টারশিপ রকেটের পঞ্চম পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করলো। যেখানে সুপার হেভি বুস্টারটি প্রথমবারের মতো উড্ডয়নের পর আবার লঞ্চ টাওয়ারেরই বিশেষ মেকানিক্যাল আর্ম "চপস্টিক" এর মাধ্যমে নিরাপদে ধরা হয়েছে।
সাধারণত স্পেসএক্স তাদের Falcon 9 বুস্টারগুলি সমুদ্রের ড্রোন শিপে অবতরণ করায়। কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে বুস্টারটি লঞ্চ টাওয়ারেই সরাসরি ফিরে আসে যা রকেট পুনঃব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
স্পেসএক্সের স্টারশিপ মিশনের পঞ্চম সফল উড্ডয়ন
স্থানীয় সময় সকাল ৮:২৫ টায় টেক্সাসের Boca Chica থেকে সম্পন্ন হয় উড্ডয়নটি। যেখানে স্টারশিপ প্রায় এক ঘণ্টা মহাকাশে থেকে ভারত মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করে। সুপার হেভি বুস্টারটি লঞ্চ টাওয়ারে সঠিকভাবে অবতরণ করায় স্পেসএক্স তাদের ভবিষ্যতের মিশনগুলোর জন্য আরও কার্যকরী এবং সাশ্রয়ী পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট সিস্টেম তৈরির দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।
বুস্টারটি যখন সফলভাবে ফিরে আসে, তখন স্পেসএক্স টিমের উচ্ছ্বাস ছিল অনন্য। এই মিশন শুধু প্রযুক্তির উন্নতি নয় এটি মানবজাতির সীমাহীন সম্ভাবনার এক উদাহরণ। মহাকাশযাত্রা এখন আর শুধু বৈজ্ঞানিক চিন্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি আমাদের সকলের এক যৌথ স্বপ্ন। একদিন আমরা সবাই এই বিশাল মহাবিশ্বের অংশ হতে পারব।
এই পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট প্রযুক্তি মহাকাশ ভ্রমণকে সাশ্রয়ী এবং সহজতর করবে, যা মঙ্গল এবং চাঁদের মতো দূরবর্তী গন্তব্যে অভিযানের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম। NASA-র মতো বড় সংস্থাগুলোও এই প্রযুক্তির ওপর ভরসা করছে। এটি আমাদের মহাকাশ অভিযানের ভবিষ্যৎ পথকে আরও উজ্জ্বল করে তুলছে। এই সাফল্য শুধুমাত্র স্পেসএক্স এর নয়, এটি আমাদের মানবিক অর্জন। যা আমাদের মহাকাশজয় করার অদম্য ইচ্ছার একটি প্রতিফলন।
তথ্যসূত্র: স্পেসনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :