বিপিএলের সর্বশেষ আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন নেতৃত্বে থাকা শুভাগত হোম। দলের শক্তিশালী স্কোয়াড না থাকা সত্ত্বেও তার নেতৃত্বে প্লে-অফে উঠেছিল চট্টগ্রাম। তবে এবারের বিপিএলে নেই সেই দল, বদলেছে মালিকানাও। চট্টগ্রামের প্রথম দুই আসরে নেতৃত্ব দেওয়া চিটাগং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আবারও বিপিএলে ফিরেছে। ফলে ভাগ্য সহায় হয়নি শুভাগত হোমের। শুধু চট্টগ্রাম নয় কোনো দলই তাকে দলে ভেড়ায়নি।
ভাগ্য সহায় হয়নি মোসাদ্দেক হোসেনরও। গত আসরে ঢাকাকে নেতৃত্ব দিলদ এবারের আসরে দল পাননি মোসাদ্দেক হোসেন। শুধু এই দুই অধিনায়ক নয়, বিপিএলে দলহীন থেকে গেছেন আরও অনেক অভিজ্ঞ ও জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটাররা। এছাড়াও দলহীন তালিকায় আছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, পেসার রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, সৈকত আলীসহ অনেকেই।
মুমিনুল হকও টানা দুই আসরের ড্রাফটে দল পাননি। যদিও দশম আসরে রংপুর রাইডার্স তাকে টুর্নামেন্টের মাঝপথে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ফজলে মাহমুদ রংপুরের হয়ে গতবার খেলেছিলেন কিন্তু এবার দলহীন থেকে গেছেন।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিপিএলের একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়। ড্রাফটে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ১৭২ জন স্থানীয় ক্রিকেটার এবং পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ৪১৫ জন বিদেশি ক্রিকেটার ছিলেন। যদিও ড্রাফটের আগেই ১৭ জন স্থানীয় ক্রিকেটারকে রিটেইন বা সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে দলবদ্ধ করা হয়েছিল।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ছিল লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের শুরুতে দল না পাওয়া। তবে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রেকর্ড ১৪ উইকেট নেওয়া এই স্পিনারকে পরবর্তীতে ফরচুন বরিশাল দলে ভেড়ায়।
বিপিএলে দল পাননি যারা:
১.শুভাগত হোম
২.মোসাদ্দেক হোসেন
৩.মুমিনুল হক
৪.রুবেল হোসেন
৫.নাজমুল ইসলাম অপু
৬.সৈকত আলী
৭.ফজলে মাহমুদ
আপনার মতামত লিখুন :