অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এর টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত । দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে চট্টগ্রাম টিম হোটেলে শান্তকে দেখা গেছে বেশ টগবগে মেজাজে। ধারাবাহিক রান করতে না পারা ও বাইরের সমালোচনার চাপের কারণে ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
এদিকে শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামনে এখন নতুন দুটি চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। প্রথমত নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করা এবং দ্বিতীয়ত দলের ক্রিকেটারদের সমালোচনা থেকে রক্ষা করা।
শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ হলেই শান্তকে আর অধিনায়কত্বে দেখা যাবে না। এ বিষয়টি বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদসহ বোর্ডের কয়েকজন পরিচালক, নির্বাচক প্যানেল এবং জাতীয় দলের কোচরা অবগত। এমনকি আসন্ন নভেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল গঠনেও মতামত দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন শান্ত। টেস্ট ছাড়াও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন তিনি।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের দায়িত্বে থাকার কথা ছিল শান্তর। আট মাসের মধ্যে তার অধীনে বাংলাদেশ পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। তবে ব্যাটে ধারাবাহিকতা না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। অবশেষে নিজের অপারগতা বিবেচনায় নিয়ে নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন তিনি।
নতুন অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা
শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার পর আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে কে আসবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার নেতৃত্বে আসতে আগ্রহী নন। এমনকি তরুণদের মধ্য থেকে লিটন দাসও নেতৃত্ব নিতে চাইছেন না। এদিকে বিসিবির হাতে বিকল্প খুবই সীমিত।
বর্তমানে ক্রিকেটের মাঠে ভালো ফর্মে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সম্ভাব্য নেতৃত্বের জন্য তার নাম উঠে এলেও এ বিষয়ে বোর্ড এখনো মিরাজের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। বিভিন্ন সূত্রের মতে, বোর্ড টেস্ট এবং ওয়ানডে ফরম্যাটে মিরাজ এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাওহীদ হৃদয়কে দায়িত্ব দিতে পারে।
সমালোচনার প্রভাব কমানোর উদ্যোগ
নাজমুল আবেদীন ফাহিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত যদি সত্যিই হয়ে থাকে তবে এটি বোর্ডের জন্য একটি বড় খবর এবং নতুন অধিনায়ক তৈরি করা একটি বড় পদক্ষেপ হবে।” তিনি আরও বলেন, ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের সমালোচনা থেকে রক্ষা করার জন্য বোর্ডের আরও শক্ত অবস্থান নেয়া উচিত। এখন দেখার বিষয় ফারুক আহমেদ এর বোর্ড কতটা কি করতে পারে।
উপসংহার
নতুন নেতৃত্ব খুঁজে বের করা এবং সমালোচনা থেকে ক্রিকেটারদের রক্ষা করার মতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিসিবি। বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিসিবি কতটা সফল হয়।
আপনার মতামত লিখুন :