আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হচ্ছে আজ, উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ডের। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বিকেল ৪টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে আরেক ম্যাচে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা নারী দলও মুখোমুখি হবে। মূলত, এই আসরের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে আইসিসি টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করেছে। বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকবেন নিগার সুলতানা জ্যোতি ও জাহানারা আলম।
২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে আটটি আসরের ছয়টি শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে। এবারের আসরে দশটি দল দুইটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতা করবে। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ‘বি’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বিশ্বকাপের এবারের আসরটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে কারণ এখানে পুরুষদের সমান প্রাইজমানি রাখা হয়েছে। ২০২৩ সালের আসরের তুলনায় ২২৫ শতাংশ বেশি অর্থ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে মোট ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮০ ডলার পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হবে। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৮ কোটি টাকা এবং রানারআপ দল পাবে ১৪ কোটি টাকা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দল পাবে ৮ কোটি টাকা করে।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ চারটি ম্যাচেই দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল, যা তাদের আত্মবিশ্বাসকে উজ্জীবিত করেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক প্রস্তুতি ম্যাচেও বাংলাদেশ বড় জয় পেয়েছে। ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।
বাংলাদেশ নারী দলের টি-টোয়েন্টিতে তেমন ভালো রেকর্ড নেই। ২০১৪ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি জয় পেয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে চার আসর খেলেও কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। যদিও ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল।
এবারের আসরেও বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশা খুব বেশি না থাকলেও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাওয়া স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়েই আসর শুরু করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। কারণ গ্রুপ পর্বে তাদের আরও মোকাবিলা করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে।
এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ মোট ২৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০ অক্টোবর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে, যা প্রতিযোগিতাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
আপনার মতামত লিখুন :