বাংলাদেশের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়ে দলের পরবর্তী ওয়ানডে ম্যাচে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলায় উইকেটকিপিংয়ের সময় আঙুলে এই চোট পান তিনি। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর তিনি ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন, তবে ব্যথার কারণে সময় নিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা, বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টানা সিরিজের সময়।
এদিন আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল খুবই দুর্বল পারফর্ম করে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের আউটের পর মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহও দ্রুত আউট হন এবং এতে দলের ওপর চাপ বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে মুশফিক মাঠে নামেন এবং ৩ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন। তিনি গজনফরের একটি ক্যারম বলে স্টাম্পিং হয়ে আউট হওয়ায় সমর্থক ও বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠে কেন মুশফিক তাঁর স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে গিয়ে সাত নম্বরে ব্যাটিং করলেন।
২০১৫ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ম্যাচের পর এই প্রথম মুশফিক এত নিচে ব্যাট করতে নামেন। সাধারণত তিনি চার বা পাঁচে ব্যাটিং করেন এবং গত দেড় বছরে তিনি ছয়ে খেলে আসছেন। তাই চাপের মুহূর্তে সাত নম্বরে ব্যাটিং করা নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। দলের সূত্রমতে আঙুলের চোটের কারণেই মুশফিককে এই পরিবর্তন আনতে হয়।
পরবর্তী ম্যাচে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা
চোট পাওয়া আঙুল নিয়ে মুশফিক দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে খেলতে পারবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। কাল রাতেই প্রাথমিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয় এবং ধারণা করা হচ্ছে তাঁর আঙুলে চিড় বা ফাটল ধরেছে। আজ আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। দলের সূত্র থেকে জানা গেছে, চোটের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ১১ নভেম্বরের শেষ ম্যাচে মুশফিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
অতীতে চোটের ইতিহাস
মুশফিকুর রহিমের চোটজনিত সমস্যা নতুন নয়। এর আগে পাকিস্তান সফরে তিনি কাঁধে চোট পেয়েছিলেন এবং ভারত সফর ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও খেলেছেন কিছু বিশেষ ব্যবস্থার আওতায়। চোট বাড়ার ঝুঁকি এড়াতে তাঁকে ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :