২০২৫ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে ফেব্রুয়ারি মাসে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের মতে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে। যদি ওই দিন চাঁদ দেখা যায় তাহলে ১ মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে। তবে চাঁদ দেখা না গেলে ২ মার্চ থেকে রোজার মাস শুরু হতে পারে।
হিজরি বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী ইসলামিক মাসগুলো চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। চন্দ্র মাসের ভিত্তিতে কোনো মাস ২৯ দিন আবার কোনো মাস ৩০ দিনের হতে পারে, ফলে হিজরি বছর সাধারণত ৩৫৩ বা ৩৫৫ দিনে পূর্ণ হয়। এই কারণে প্রতি বছর রমজান মাস ইংরেজি ক্যালেন্ডারে ১০ থেকে ১২ দিন আগে শুরু হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালে সৌদি আরবে রমজান শুরু হয়েছিল ১১ মার্চ যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১২ দিন আগে। এ বছরও একই পদ্ধতি অনুসারে রমজান মাস ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রমজানের ধর্মীয় রীতি
রমজানের চাঁদ দেখা গেলে সেই রাতেই তারাবির নামাজ আদায় করেন মুসলিমরা। এরপরে ভোররাতে সেহরি খেয়ে দিনের রোজা রাখা হয়। সারা দিন পানাহার থেকে বিরত থেকে সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা পূর্ণ করা হয়। রমজান মাসে পবিত্রতার অনুভূতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনন্য এক পরিবেশ তৈরি হয় যা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চাঁদ দেখার পদ্ধতি এবং বিভিন্ন দেশের প্রথা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশগুলোতে রমজানসহ অন্যান্য মাসের শুরুর জন্য খালি চোখে চাঁদ দেখার প্রথা অনুসরণ করা হয়। তবে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডসহ কিছু দেশে চাঁদ দেখার গণনা পদ্ধতি ব্যবহার করে রমজান এবং অন্যান্য ইসলামিক মাসের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এসব দেশে খালি চোখে চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষা না করলেও তা কিছু দেশে ধর্মীয় প্রথা হিসেবে বিবেচিত হয়।
রমজান মাসে দান-সদকা এবং ঈদ উদযাপন
রমজান মাসে মুসলিমরা দান-সদকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য সহানুভূতির প্রকাশ করেন। পুরো মাসের সিয়াম সাধনার শেষে আসে ঈদুল ফিতর। যা সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য আনন্দ এবং উৎসবের এক বিশেষ দিন।
আপনার মতামত লিখুন :