বিশ্বজুড়ে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইনস ডে) হিসেবে পালন করা হয়। তবে ইসলামে এই দিনের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটি মূলত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অংশ, যা ইসলামের মূল আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
১৪ই ফেব্রুয়ারি ও ভালোবাসার প্রকৃত শিক্ষা
ইসলাম ভালোবাসাকে সম্মান করে, তবে তা শরিয়তসম্মত ও পবিত্র হতে হবে। বিবাহের মাধ্যমে ভালোবাসাকে হালাল করার জন্য ইসলাম উৎসাহ দেয়।
আল কোরআনে বলা হয়েছে:
“আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা রূম: ২১)
১৪ই ফেব্রুয়ারি ইসলাম অনুমোদন করে কি?
ভালোবাসা প্রকাশের জন্য ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালনের কোনো ইসলামি ভিত্তি নেই। বরং এই দিনে অনৈতিক সম্পর্কের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
আল কোরআনে আল্লাহ বলেন:
“তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটি একটি অশ্লীল কাজ ও খুবই নিকৃষ্ট পথ।” (সূরা ইসরা: ৩২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“তোমরা যখন কোনো নারীর সঙ্গে একান্তে থাকো, তখন তৃতীয়জন হয় শয়তান।” (তিরমিজি, হাদিস: ২১৬৫)

মুসলিমদের করণীয় কী?
১. বিবাহের মাধ্যমে ভালোবাসাকে পবিত্র রাখা।
২. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য উপহার দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন: “তোমরা একে অপরকে উপহার দাও, এতে পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।” (বুখারি, আদব অধ্যায়)
৩. বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা। রাসুল (সা.) বলেন: “যে ব্যক্তি আমার গ্যারান্টি চায়, সে যেন তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।” (সহিহ বুখারি: ৫০৬৬, সহিহ মুসলিম: ৩৪৬৯)
১৪ই ফেব্রুয়ারি পালন করা কি হারাম?
১৪ই ফেব্রুয়ারি ইসলাম অনুমোদিত নয়, কারণ এতে বিবাহপূর্ব প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্কের প্রচলন ঘটে। মুসলিমদের উচিত এ ধরনের সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকা এবং ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণ করা। ইসলামের দৃষ্টিতে ভালোবাসা দিবস।
১৪ই ফেব্রুয়ারি ইসলামে বৈধ নয়। মুসলিমদের উচিত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অন্ধ অনুসরণ না করে, বিবাহের মাধ্যমে ভালোবাসাকে হালাল রাখা। প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা থাকা উচিত, কোনো নির্দিষ্ট দিনে নয়।
আপনার মতামত লিখুন :