সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর অপসারণের প্রশ্নে ছাত্র সংগঠন ও নাগরিক কমিটি চাপ সৃষ্টি করলেও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তারা সমর্থন পান নি। এমনকি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের অপসারণে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি প্রকাশ্যে এসেছে।
নানা পক্ষের মতামত অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা অপসারণে সাংবিধানিক সংকটের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে যা বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রেসিডেন্ট অপসারণের দাবি জানালেও প্রধান দল বিএনপি এ প্রস্তাবকে সমর্থন করেনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট অপসারণের বিরোধিতা করেছেন বিএনপি দলীয় নেতারা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ নিয়ে তৎপরতা না চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যুক্তি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট অপসারণ করলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বর্তমান সরকারকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই সময়ে নতুন সংকট সৃষ্টি হলে প্রশাসনের জন্য তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পরবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতেও দেশের স্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রাখতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ প্রশ্নে সংযম প্রদর্শন জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :