উপজেলায় পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। ঈদুল ফিতরের পরপরই কেন্দ্র থেকে দলটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও দলের রাজনৈতিক কাউন্সিলে আলোচনা করে উপজেলা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছিল জামায়াত। মাঠ পর্যায়ে দলের পক্ষ থেকে যেসব উপজেলায় জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে নির্বাচন করার বার্তা ছিল। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটিকে। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভোট হবে বলে আশা করছেন তারা।
বিরোধী দলের অংশগ্রহণে সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা কম। তবে প্রথম দফায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখের আগেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দলটি। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি জামায়াত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার জেলা ও উপজেলা নেতারা মৌখিকভাবে নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন। জামায়াত নেতারা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভোট হবে বলে আশা করছেন তারা। বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ কম। বিপরীতে: বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ সরকারকে রাজনৈতিক সুবিধা দেবে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি আবদুল হালিম গতকাল প্রসূম এলোকে বলেন, জামায়াত উপজেলা নির্বাচন করবে না। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা যারা তাদের আবেদনের নথি পাঠিয়েছেন তাদের প্রত্যাখ্যান করতে বলি। তবে কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে সংগঠন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সরেজমিনে জানা গেছে, যশোর, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের জামায়াত নেতারা প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুলহেদা জেলায় তিনটি পদের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হন এবং জামায়াত জেলা কর্তৃক নির্বাচিত হন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির আজিজরহমান, জনাব আমীর নায়েব আলী, সহ-সভাপতি এবং জামায়াতের কাউন্সিলর রীনা খাতুন, দিনাজপুরের বিরামপুর সিটির ডেপুটি ম্যাডাম, পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন মো. তিনি রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। তবে দলীয় প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে উপজেলা নির্বাচন করেনি জামায়াত। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা যারা তাদের আবেদনের নথি পাঠিয়েছেন তাদের প্রত্যাখ্যান করতে বলি। চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম গতকাল প্রথম এলোকে বলেন, “আমাদের ভোট দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :