বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে ছাত্রলীগ বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য অপরাধগুলো হলো—হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন। এসব কর্মকাণ্ড জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে যা দেশটির প্রধান গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। কিছু সন্ত্রাসী ঘটনার প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র হামলা চালিয়ে শতাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। এতে আরও অসংখ্য মানুষ আহত ও জীবনহানির শিকার হয়েছে।
সরকারের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এসব কর্মকাণ্ডে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিল। এসব প্রমাণের ভিত্তিতে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ধারা ১৮-এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং উক্ত আইনের তফসিল-২-এ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :