বাংলাদেশে প্রথম নারী ফরেস্টার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছেন বান্দরবানের মেয়ে মিতা তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের বঙ্গপাড়ার গুণধর তঞ্চঙ্গ্যার কন্যা। পরিবারে পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ছোট মিতা তার অধ্যবসায় এবং প্রতিভার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।
মিতার যাত্রা: কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সাফল্যের শিখরে
মিতা তঞ্চঙ্গ্যা ২০১৮ সালে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার তাইতংপাড়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর চট্টগ্রামের ফরেস্ট্রি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (FSTI)-এ ভর্তি হন। ২০২৩ সালের সমাপনী পরীক্ষায় তিনি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ফরেস্ট ডিপ্লোমায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
নারী হিসেবে ফরেস্টার পেশায় চ্যালেঞ্জ
মিতা জানান, এই পেশায় নারীদের জন্য শারীরিক যোগ্যতার একটি বড় বাধা রয়েছে। ফরেস্টার পদের জন্য উচ্চতার প্রয়োজন ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, যা অনেক মেয়ের ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন,
“আমাদের আদিবাসী মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। আমি চাই এই কঠিন পেশায় আরও মেয়েরা এগিয়ে আসুক। উচ্চতার মানদণ্ড কিছুটা শিথিল করা হলে আরও অনেক মেয়ে এই পেশায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।”
প্রতিষ্ঠানের গর্বিত মুহূর্ত
মিতার সাফল্যে ফরেস্ট্রি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,
“আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দেশের প্রথম নারী ফরেস্টার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আরও নারীরা এই পেশায় এগিয়ে আসুক। এজন্য নিয়োগবিধি সংশোধন এবং শারীরিক যোগ্যতার বিষয়টি শিথিল করার পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
আপনার মতামত লিখুন :