২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে। এই সময়ে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫০৮ কোটি মার্কিন ডলার, যার মধ্যে আমিরাত থেকে এসেছে ২৯১ কোটি ডলার।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যেখান থেকে এসেছে ১৮৮ কোটি ডলার। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে সৌদি আরব (১৭৯ কোটি ডলার), যুক্তরাষ্ট্র (১৬৮ কোটি ডলার) এবং ইতালি (১০০ কোটি ডলার)। এই পাঁচটি দেশ থেকেই মোট রেমিট্যান্সের ৬১ শতাংশ এসেছে এই আট মাসে।
এ তালিকায় গত দুই বছরে আমিরাত তৃতীয় এবং যুক্তরাজ্য ছিল চতুর্থ স্থানে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল যথাক্রমে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র।
ব্যাংকাররা বলছেন, সৌদি আরব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসা রেমিট্যান্স কমেছে। অন্যদিকে, আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্পদের একটা বড় অংশ বিত্তশালী, উদ্যোক্তা এবং রাজনীতিবিদদের জন্য দুবাই এক আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। সেখানে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, কালো টাকার একটা অংশ সরকারের দেওয়া সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশে আনা হচ্ছে। সেই সুবিধা নেওয়ার পর, টাকা আবার অনানুষ্ঠানিক পথে পাচারও হচ্ছে। ফলে, আমিরাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেমিট্যান্স হুট করে বেড়ে যাচ্ছে।
তবে ব্যাংকাররা জানাচ্ছেন, এখন ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স আনতে নানা ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। ফলে আনুষ্ঠানিক পথে রেমিট্যান্স বাড়ছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিক পথে রেমিট্যান্স পাঠালে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নানা ধরণের প্রচারণাও চলছে। ফলে সেখান থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :