আমরা কোরবানির গোস্ত সারাবছর খাওয়ার জন্য কুল স্টোরেজ করে রাখি। তবুও মাঝে মাঝে দেখা যায় ডিপ এ রাখা গোস্ত বা মাছ সবুজ রং চলে এসেছে ও এগুলো রান্না করার পর এক ধরনের কলেস্টেরল তেল এর মতো গন্ধ হয়ে এসেছে।এর কারন সঠিক ভাবে গোস্ত/মাছ ফ্রিজিং না করা।
কিছু ভুল এর জন্য ফ্রিজে রাখা গোস্ত এ মাছ নষ্ট হয়ে যায় চলুন যেনে নেয়া যাক কারণ গুলো কি কি
গোস্ত/মাছ সারাবছর ফ্রিজে সংরক্ষণ করার নিয়ম হচ্ছে।
ডিপ এ- গোস্ত/মাছ লোড দেয়ার মিনিমাম ১২ঘন্টা আগে ফ্রিজটি গন্ধ মুক্ত ভাবে পরিস্কার করতে হবে ও ভালো ভাবে কাপর দিয়ে পানিশূন্য করতে হবে ।
ডিপ এ- গোস্ত/মাছ রাখার মিনিমাম ১২ ঘন্টা আগে পরিস্কার ফ্রিজটিকে চালু করে ২ লিটার পানির বোতল বরফ করে রাখতে হবে।
ডিপ এ- ১২ ঘন্টা ফ্রিজ চলার পর গোস্ত/মাছ ফ্রিজে ঢুকাতে হবে। অবশ্যই ফ্রিজে রাখা গোস্ত/মাছ ভালো ভাবে পরিস্কার পানি দিয়ে রক্তশূন্য ও ময়লা শূন্য করে তারপর ফ্রিজে রাখতে হবে নয়তো এই রক্ত ও ময়লা থেকে ছত্রাক জন্ম নিবে আর ছত্রাক হলে বেশিদিন এ গোস্ত ফ্রিজিং করেও ভালো থাকবে না। সব থেকে ভালো হয় ডিপ এ গোস্ত/মাছ রাখার আগে লবন হলুদ গুরো মেশানো পানি দিয়ে গোস্ত/মাছ ভালো ভাবে ধুয়ে তারপর ফ্রিজিং করবেন এতে গোস্ত/মাছ এর স্বাদ সারাবছর অটুট থাকবে ও ছত্রাক হওয়ার আশংকা নেই।
ডিপ এ অব্যশই গাদাগাদি করে চেপে গোস্ত/মাছ রাখা যাবে না।ফ্রিজ লোড করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্রিজের চার দিকে ও ওপর সাইটে মিনিমাম ২" করে ফাকা রাখতে হবে নয়তো ঠান্ডা বাতাস আসবে না ঠান্ডা বাতাস না আসলে বরফ ঠিকঠাক হবে না তখন ফ্রিজ ও গোস্ত/মাছ সব নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।
এককথায় ফ্রিজে অপরিস্কার রক্ত ময়লা যুক্ত মাছ গোস্ত রাখা যাবেনা। ও ডিপ এ চর্বি রেখে খাওয়া হতে বিরত থাকুন। চর্বি হচ্ছে বরফ এর শত্রু যে কারণে ফ্রিজে চর্বি রাখলে সব কিছুতেই দুর্গন্ধ সৃষ্টি করবেই ও নষ্ট করবে সব কিছু..... মনে রাখবেন ফ্রিজে যতটা জিনিস রাখবেন পরিস্কার করে লবন হলুদ দিয়ে ভালো ভাবে প্যাক করে রাখবেন অব্যশই এয়ার ব্লক প্যাকিং করার চেষ্টা করবেন এতে সারাবছর জিনিস ভালো থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :