বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১

যেভাবে ইয়ারবাডস পরিষ্কার করতে হয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৪, ০৪:৫৫ এএম

যেভাবে ইয়ারবাডস পরিষ্কার করতে হয়

নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ইয়ারবাডস থেকে কানে জমতে পারে ময়লা।

এই সময়ে কানে ইয়ারবাডস গুঁজে গান শোনেন না, এরকম মানুষ কমই আছেন।

তবে বাজে বিষয় হল- এই যন্ত্রে মোবাইল ফোনের মতোই ব্যাক্টেরিয়া ও ময়লা জমে। যদি শব্দ বা সংগীত প্রথম অবস্থার যেমন ছিল সেরকম না মনে হয়, তবে ইয়ারবাডস বা এই ধরনের যন্ত্রে হয়ত জমছে কানের ময়লা আর জন্মেছে ব্যাক্টেরিয়া।

আর ময়লা ইয়ারবাডস ব্যবহারে কানে সংক্রমণও হতে পারে।

কত দিন পরপর পরিষ্কার করা উচিত

যদি প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় তবে সপ্তাহে একবার সংক্ষিপ্তভাবে পরিষ্কার করা উচিত।

লস অ্যাঞ্জেলেসের ‘হোয়াইটার হসপিটাল সেন্টার’য়ের প্রচারিত এক পডক্যাস্টে এই পরামর্শ দিয়ে আরও জানানো হয়, এছাড়া আবহাওয়া ও ব্যবহারের মাত্রার ওপর নির্ভর করে মাসে একবার ভালো মতো পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।

এই ভিডিও বার্তার ওপর ভিত্তি করে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, নিয়মিত জীবাণু মুক্ত না করায় ইয়ারপডস’য়ে ময়লা ও ব্যাক্টেরিয়া জমার সম্ভাবনা বাড়ে।

আর এই ময়লা ইয়ারবাডস ব্যবহারের ফলে কানে খৈল বা ময়লা জমে বেশি। অতিরিক্ত ময়লা জমলে কানে শুনতে সমস্যা হতে পারে।

পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজন হবে

ইয়ারবাডস পরিষ্কারের জন্য: বাসন বা হাত ধোয়ার তরল সাবান, কটনবাডস, মাইক্রোফাইবার কাপড় ও নরম ব্রাশের টুথব্রাশ।

ইয়ারবাডস ও কেইস জীবাণু অপসারণের জন্য: রাবিং অ্যালকোহল, অ্যালকোহল ওয়াইপ্স, কটন বাডস।

কাপড়ের থলে পরিষ্কারের জন্য: বাটি, বাসন ধোয়ার তরল সাবান ও পানি।

ইয়ারবাডস পরিষ্কার করার পদ্ধতি

সরাসরি পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। প্রথমে ছোট একটি বাটিতে আধা চামচেরও কম পরিমাণ তরল সাবান আধা কাপ কুসুম পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে।

ইয়ারবাডসের সিলিকন বা রাবারের অগ্রভাগ খুলে ওই সাবান গোলানো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পর সেগুলো উঠিয়ে পানি ঝেরে কটনবাডস দিয়ে ভালো মতো মুছতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে বাতাসে শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। দরকার হলে টিস্যু পেপারের ওপর রেখেও শুকানো যায়।

মনে রাখতে হবে সম্পূর্ণ শুকানোর পর ইয়ারবাডসে রাবারের অগ্রভাগগুলো সংযুক্ত করতে হবে।

ইয়ারবাডস পরিষ্কারের ক্ষেত্রে স্পিকারের অংশটা নিচের দিকে রাখতে হবে, যাতে কোনো ময়লা ভেতরের দিকে চলে না যায়। এবার দৃশ্যমান ময়লা থাকলে সেগুলো নরম ব্রাশের টুথব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে আলতো চাপে।

জীবাণু মুক্ত করতে

যদি অনেকদিন পরিষ্কার করা না হয় তবে জীবাণু মুক্ত করার প্রয়োজন পড়বে।

প্রথমে ইয়ারবাডস’য়ের সিলিকন বা রাবারের অগ্রভাগ আলাদা করে রাবিং অ্যালকোহলে তুলা ভিজিয়ে মুছে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে।

ফোমের অগ্রভাগ পরিষ্কার করতে সাবান-পানি ব্যবহার করতে হবে।

ইয়ারবাডস’য়ের তারের জালির মতো অংশ যেখান দিয়ে শব্দ বের হয় সেখানটা পরিষ্কার করতে কটনবাডস’য়ে রাবিং অ্যালকোলহল অল্প নিয়ে আলতো করে ঘষতে হবে। মনে রাখতে হবে অ্যালকোহলে চুবিয়ে বেশি ভেজানো যাবে না কটনবাডস। এরপর শুকাতে হবে বাতাসে।

ইয়ারবাডস’য়ের কেইস ও কেবল অ্যালকোহল ওয়াইপস্ বা রাবিং অ্যালকোহলে মাইক্রোফাইবারের কাপড় ভিজিয়ে ভালো মতো মুছে নিতে হবে। কেইসের ভেতরটা পরিষ্কার করতে হবে কটনবাডস’য়ে অল্প রাবিং অ্যালকোহল মাখিয়ে।

আর সব কিছু পরিষ্কারের পর ভালো মতো বাতাসে শুকাতে হবে।

এয়ারবাডস যদি কোনো কাপড়ের ছোট থলেতে রাখা হয় তবে সেটাও পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে সাবান গোলানো পানি ব্যবহার করা যাবে।

ইয়ারবাডস বেশিদিন পরিষ্কার রাখার পন্থা

পকেটে বা ব্যাগে রাখার ক্ষেত্রে সব সময় ছোট বাক্স ব্যবহার করা উচিত।

পানি-রোধী হোক বা না হোক কোনো কারণে ইয়ারবাডস ভিজে গেল বাতাসে শুকাতে হবে।

ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকলে ঘামে ভেজা পোশাকের পকেটে ইয়ারবাডস রাখা যাবে না। কারণ ঘামের ভেজাভাব থেকে ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর ঝুঁকি বাড়বে। এক্ষেত্রে ছোট জিপলক প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা উপকারী।

ইয়ারবার্ডস চার্জিংয়ের সময় কেইস’য়ের ঢাকনা বন্ধ রাখতে হবে। এতে ভেতরে ধুলা যাওয়ার পরিমাণ কমবে।

Link copied!

সর্বশেষ :