সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন আজ বৃহস্পতিবার। তারা হচ্ছেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। নতুন তিনজনকে নিয়ে আপিল বিভাগে এখন বিচারপতি হলেন আটজন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে তাদের শপথ পড়ান। এসময় সেখানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে এতদিন বিচারপতি ছিলেন পাঁচজন। নতুন করে বুধবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন সচিব গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিন বিচারককে আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন। শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে তাদের নিয়োগ কার্যকর হবে।
বিচারপতি আবদুল হাফিজ: সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন বিচারপতি আবদুল হাফিজ। পরে ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী হন। ১৯৮৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ পান তিনি।
বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জনকারী শাহিনুর ইসলাম ১৯৮৩ সালে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনি নিয়োগ পান। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন। দুই বছর পর তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি কাশেফা হোসেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর করা বিচারপতি কাশেফা হোসেন একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলএম করেন। ১৯৯৫ সালে জেলা আদালত এবং ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন তিনি। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন তিনি। দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান কাশেফা হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :