গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চিত্রাপাড়া কবরস্থান থেকে ৩টি লাশ চুরি হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পশ্চিম চিত্রাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আজ বুধবার ভোরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কবরস্থানে দাফনকৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা কবরস্থানে ছুটে আসেন। এ সময় চুরি হওয়া লাশগুলোর স্বজনদের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
সরেজমিনে পশ্চিম চিত্রাপাড়া কবরস্থানে ৫টি কবর খোড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরমধ্যে চিত্রাপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী, চাঁদ মিয়া ও বায়জিদ হোসেনের কবরের লাশ পাওয়া যায়নি।
চিত্রাপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, চিত্রাপাড়া পশ্চিমকান্দি কবরস্থানে আমার বাবা-মাকে দাফন করা হয়েছে। আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পড়ে তাদের কবর জিয়ারত করতে আসি। আজ কবরস্থানে ঢুকতেই দেখি ১টি কবর খোঁড়া। আশপাশে তাকিয়ে দেখি একে একে ৫টি কবর খোঁড়া। এরমধ্যে ৩টি কবরে লাশ নেই। তখনই আমি এলাকাবাসীকে খবর দেই।
সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত আলীর বড় মেয়ে সালমা খানম কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা ৯ মাস আগে মারা যান। মারা যাওয়ার পরে পশ্চিম চিত্রাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি একজন ইউপি সদস্য ছিলেন। আজ ভোরে খবর পাই কবরস্থান থেকে বাবার লাশ চুরি হয়েছে। তাৎক্ষণিক আমরা ছুটে এসে দেখতে পাই বাবার কবর খোঁড়া। পাশেই কাফনের কাপড়, শরীরের চামড়া ও চুল দাঁড়ি পড়ে আছে। হাড়গুলো ও মাথা চোরেরা নিয়ে গেছে।
চাঁদ মিয়ার ছেলে মহাসিন ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা ৪ মাস আগে মারা গেলে এই কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। লাশ চুরির খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি কবরের ভিতরে আমার বাবার লাশ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। যে সকল মৃত ব্যক্তির লাশ চুরি হয়েছে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ট্যাগ দাও
আপনার মতামত লিখুন :