সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট বেকসুর খালাস দিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ তাকে সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন, যেখানে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করা হয়েছে। বাবরের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করেছে। কিন্তু বাবরের বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলার কারণে তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
বাবরের বিরুদ্ধে মামলার ইতিহাস
২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। পরে একই বছরের ১৬ জুলাই দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে এবং ১২ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ বাবরকে দুটি পৃথক ধারায় যথাক্রমে ৫ বছর ও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে বাবর আপিল করেন এবং হাইকোর্টে শুনানির পর আজ তাকে খালাস দেওয়া হয়।
বাবরের বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলা ও শাস্তি
যদিও হাইকোর্ট দুর্নীতি মামলায় বাবরকে খালাস দিয়েছে কিন্তু তার বিরুদ্ধে আরও ১৪টি মামলা রয়েছে। তিনি ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাতেও তিনি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। এ ছাড়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখার মামলায় ২০০৭ সালে বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাবরের রাজনৈতিক জীবন
লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন (১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬)। তিনি ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। বাবরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের খালাস পেলেও তার অন্যান্য মামলার জটিলতার কারণে তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :