সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের পর্যালোচনা কমিটি পুরুষদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছর নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
কমিটির গঠন এবং সুপারিশ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সরকারের নির্দেশে এই পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির দায়িত্ব ছিল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণের বিষয়টি পর্যালোচনা করা এবং এর ভিত্তিতে সুপারিশ প্রদান করা। গঠন করার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে।
শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি বিবেচনা
কমিটি তাদের সুপারিশে দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা, পরীক্ষার পদ্ধতি এবং বর্তমান কর্মসংস্থানের সুযোগগুলোকে বিবেচনা করেছে। পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সুপারিশ চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। তবে অবসরের বয়সসীমা নিয়ে কমিটি কোনো পরিবর্তনের সুপারিশ করেনি। বর্তমান বয়সসীমা ৫৯ বছরই বহাল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে।
বর্তমান আইন এবং পরিবর্তনের প্রস্তাব
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা পুরুষ ও নারীদের জন্য ৩০ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এই বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত। নতুন সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পুরুষদের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সুপারিশ পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :