সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য আসছে সুখবর। দফায় দফায় আন্দোলনের পর অবশেষে আসতে চলেছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ বয়স বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠছে। তবে মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হবে এক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩২ এবং অবসরের বয়স ৬২ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ এবং অবসরের বয়স ৫৯ বছর নির্ধারিত আছে।
দৈনিক সমকালে আজ ( ১৯শে সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে "সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে" শীর্ষক শিরোনামের এক প্রতিবেদন।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে এ বিষয়ক বিধি-বিধান খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সংশোধনের প্রয়োজন হলে তাও বিবেচনা করা হবে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকার জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে। চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়াতে সুপারিশ করা না করা এই কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত। সার্বিক জনকল্যাণ বিবেচনায় এই কমিশন যদি মনে করে সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ও অবসরের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন তবে তারাই সরকারকে সুপারিশ করবে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি আন্দোলনের সাথে জড়িত মুখপাত্রদের যুক্তি বাংলাদেশের ত্রুটিপূর্ন এবং সেশনজট যুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন ছাত্র বা ছাত্রী অনার্স /মাস্টার্স শেষ করতে করতে বয়স পৌছে যায় ২৭/২৮ এ। এরপর চাকরির জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রস্তুতি নিতে নিতে ফুরিয়ে যায় আবেদনের বয়স।
এক্ষেত্রে ৩৫ করা হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলেও তারা দাবি করেন।
এছাড়াও তাদের যুক্তি যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৫৭ বছর তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর হলেও কেন বাড়ছে না চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা।
যুক্তি তর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সরকার পৌছাতে যাচ্ছে একটা সুষ্ঠু সিদ্ধান্তে। দেখা যাক তা কতটা ফলপ্রসূ হয়।
আপনার মতামত লিখুন :