বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ট্রাম্প প্রশাসনে ইলন মাস্কের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ১০:২২ পিএম

ট্রাম্প প্রশাসনে ইলন মাস্কের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ

মার্কিনদের ওপর ইলন মাস্কের প্রভাব

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে ইলন মাস্কের ক্ষমতা দিন দিন বেড়ে চলেছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন রাজনীতিবিদরা। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাস্ককে নজিরবিহীন ক্ষমতা দেওয়ায় ডেমোক্র্যাটরা বিষয়টিকে ‘অসাংবিধানিক ক্ষমতা দখল’ হিসেবে দেখছেন।

ইলন মাস্কের দখলদারি ও সমালোচনা

দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কোষাগার ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এছাড়া মানবিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতেও বাধ্য করেছেন। এই পদক্ষেপে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন বলেন, ‘ইলন মাস্কের এই দখলদারির চেষ্টা টিকবে না।’

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া

ওভাল অফিসে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের অনুমোদন ছাড়া ইলন মাস্ক কিছুই করতে পারেন না, করবেনও না।’ তিনি আরও বলেন, মাস্কের উদ্যোগ যেখানে যথাযথ হবে, সেখানে অনুমোদন দেওয়া হবে, তবে যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে অনুমতি দেওয়া হবে না।

মাস্কের রাজনৈতিক ভূমিকা

ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, মাস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় ঝুঁকি হতে পারে। বিশেষ করে, ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনী প্রচারে মাস্কের বিশাল অঙ্কের দান এবং তার কোম্পানির মার্কিন সরকারের সঙ্গে একাধিক বড় চুক্তি রয়েছে, যা তার প্রভাব আরও বাড়িয়ে তুলছে।

ইউএসএআইডি বন্ধের ঘোষণা

এক্স-এর (সাবেক টুইটার) একটি লাইভ চ্যাটে মাস্ক ঘোষণা দেন, ইউএসএআইডি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি এটিকে ‘অপরাধী সংস্থা’ বলে অভিহিত করেন। তার এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।

নতুন বিতর্ক

ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের ভূমিকা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, ‘মাস্ককে কেউ নির্বাচিত করেনি। তবুও তিনি প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’

ওয়াশিংটন এখন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ক কতদিন টিকে থাকে এবং তাদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব প্রশাসনে কী প্রভাব ফেলে।

Link copied!

সর্বশেষ :