চীনা মালিকানাধীন জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হওয়ার মুখে। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার টিকটকের আপিল খারিজ করে দিয়েছে। এতে করে আগামী রোববার থেকে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিকটক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার অনেক দিন ধরেই জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অভিযোগ, অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সরকারের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। এ কারণেই কংগ্রেস গত বছর একটি আইন পাস করে, যেখানে টিকটকের মালিকানা চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স থেকে মার্কিন কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করার কথা বলা হয়েছিল।
কিন্তু বাইটড্যান্স সেই নির্দেশ মানেনি। এরপর বিষয়টি আদালতে গড়ায়। সুপ্রিম কোর্ট এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এই আইন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করে না।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। সেখানে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করেন। কারও জন্য এটি বিনোদনের মাধ্যম, আবার কেউ এটিকে নিজের সৃজনশীলতা বা মত প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করেন। তবু নিরাপত্তার ঝুঁকি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কংগ্রেস ও আদালত।
এর আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টিকটক নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কংগ্রেসের পাস করা আইনেও তিনি স্বাক্ষর করেন। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বর্তমান প্রশাসন টিকটক বন্ধ ঠেকানোর কোনো পদক্ষেপ নেবে না।
২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেবেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তিনি বলেছেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। তবে সরাসরি তিনি এখনো কিছু ঘোষণা করেননি।
এখন প্রশ্ন হলো, টিকটক সত্যিই বন্ধ হবে কি না। কংগ্রেসের আইন অনুযায়ী, হয় চীনা প্রতিষ্ঠানকে অ্যাপটির মালিকানা ছেড়ে দিতে হবে, তা না হলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে।
তবে টিকটক বন্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও প্রযুক্তি জগতে হইচই চলছে। এর ফলে শুধু অ্যাপ ব্যবহারকারীরাই নয়, টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়েও বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :