যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির প্রাক্তন অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিক টিউলিপ সিদ্দিককে দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া তার এই বিস্ফোরক মন্তব্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ সাড়া ফেলেছে।
ইলন মাস্কের বিস্ফোরক মন্তব্য
গতকাল ১৫ই জানুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইলন মাস্ক এক্সে একটি টুইট শেয়ার করেন। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে করা এক টুইট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “লেবার পার্টির শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শিশু নিগ্রহকারীদের নিরাপত্তা দেয় এবং দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিবাজ।” এতে বোঝাই যাচ্ছে ইলনের এই মন্তব্য সরাসরি টিউলিপ সিদ্দিককে লক্ষ্য করে করা এবং এটি তার রাজনৈতিক জীবনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

ইলন মাস্কের শেয়ার করা টুইট
টিউলিপ সিদ্দিক ও দুর্নীতির অভিযোগ
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল দেশের আর্থিক খাতে দুর্নীতি রোধ করা। কিন্তু বাংলাদেশে দুর্নীতির একটি মামলায় তার নাম উঠে আসার পর থেকেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। এ মামলায় টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও তার মা শেখ রেহানা, ভাইবোন এবং খালা শেখ হাসিনার নামও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে তারা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত। যদিও টিউলিপ সিদ্দিক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন এই সবই মিথ্যা।
পদত্যাগ ও সমালোচনা
অবশেষে একাধিক সমালোচনার মুখে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার এই পদত্যাগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরই মাঝে ইলন মাস্কের মন্তব্য যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি ও টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, টিউলিপ সিদ্দিক যখন দুর্নীতি রোধের দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী ধাপ
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এখনো তদন্তাধীন। তবে ইলন মাস্কের সরাসরি মন্তব্যে বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে। এ নিয়ে লেবার পার্টি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ইলন মাস্কের এই মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ বিষয়টিকে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সঠিক অবস্থান বলে দাবি করেছেন, আবার কেউ একে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন। তবে দেখার বিষয়, এই বিতর্ক টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে কীভাবে প্রভাবিত করে।
আপনার মতামত লিখুন :