বাংলাদেশ সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১

লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করল ইসরায়েল

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ১০:১১ এএম

লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করল ইসরায়েল

লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করলো ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল প্রথম ধাপে লেবানন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করেছে। সেই জায়গায় লেবাননের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সেন্টকম এক বিবৃতিতে জানায়, সেন্টকমের নেতা জেনারেল এরিক কুরিলা লেবাননের আল-খিয়াম শহর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং সেখানে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন কার্যক্রম তদারকি করেছেন। কুরিলা বলেন, “শত্রুতার স্থায়ী অবসান নিশ্চিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা সংঘাত বন্ধে ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।”

লেবাননের প্রতিক্রিয়া

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দক্ষিণাঞ্চলে সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া জোরদার করার ক্ষেত্রে খিয়াম ও মারজায়ুন এলাকায় সেনা মোতায়েন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

ইসরায়েলের বিবৃতি

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ৭ম ব্রিগেড দক্ষিণ লেবাননের খিয়ামে অভিযান শেষ করেছে। ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে, লেবাননের সেনাদের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। এ অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনও (ইউএনএফআইএল) সক্রিয় রয়েছে।

পটভূমি

গত ৭ অক্টোবর, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে। ইসরায়েল প্রথমে সীমান্ত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও পরবর্তীতে স্থল অভিযান শুরু করে। এতে বহু প্রাণহানি ঘটে।

গত ২৭ নভেম্বর উভয় পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা এখনো বহাল আছে। তবে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে।

চুক্তির শর্ত

যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। লেবাননের সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা সেই অঞ্চলে মোতায়েন হবেন।

অন্যদিকে, হিজবুল্লাহকে সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে লিতানি নদীর পেছনে তাদের অবস্থান সরিয়ে নিতে হবে এবং দক্ষিণ লেবাননের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে হবে।

 

Link copied!

সর্বশেষ :