বাংলাদেশ শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্তের অপেক্ষায়, দোহায় আজ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১০:৩৭ এএম

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্তের অপেক্ষায়, দোহায় আজ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা


প্রতিবেদন:
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি চূড়ান্তের সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচকরা বৈঠকে বসবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তার প্রশাসন চুক্তির কার্যক্রমকে বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার মধ্যরাতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়। মধ্যস্থতাকারীরা উভয় পক্ষকে চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া পেশ করেছেন। চুক্তিতে প্রথম ধাপে শিশু, নারী, বয়স্ক এবং আহত বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বাইডেন সোমবার এক ভাষণে বলেন, "এই চুক্তি যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, জিম্মিদের মুক্তি দেবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করবে।" বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদের শেষ সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে তিনি এই অর্জনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যা দেন।

 

চুক্তির মূল ধারা
১. শিশু, নারী ও বয়স্ক বন্দিদের প্রথম ধাপে মুক্তি।
২. ১৬ দিন পর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় বাকি জিম্মি ও মৃতদেহ ফেরতের বিষয়।
৩. ইসরায়েলি বাহিনীর ধাপে ধাপে গাজা থেকে সরে দাঁড়ানো।
৪. নিরস্ত্র বাসিন্দাদের উত্তর গাজায় প্রবেশাধিকার।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, "চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়া এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে। উভয় পক্ষই সমঝোতার কাছাকাছি রয়েছে।"

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামাসের বন্দিদশায় থাকা ৯৮ জন ইসরায়েলি নাগরিকের মধ্যে প্রথম দফায় ৩৩ জন মুক্তি পেতে পারেন।

চুক্তির পথে চ্যালেঞ্জ
যদিও দোহায় বৈঠক নিয়ে আশাবাদী উভয় পক্ষ, তবে চুক্তির মূল বিষয়গুলো নিয়ে এখনও সংশয় রয়ে গেছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং হামাসের অস্ত্র সংরক্ষণ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে এই আলোচনা শুরু হয়। সেসময় হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জনের বেশি জিম্মি হয়। পরবর্তীতে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গাজায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তা হবে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্থিতিশীল করতে পারে।

আজকের দোহা বৈঠক থেকে নির্ধারিত হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ।


 


 

Link copied!

সর্বশেষ :