পবিত্র রমজান শুরুর আগেই বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে, এমন আশ্বাস দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তবে অর্থসংস্থানের উৎস নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকে কী আলোচনা হলো?
আজ বুধবার সচিবালয়ে ‘বেক্সিমকো শিল্পপার্কের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “গত জানুয়ারির বৈঠকে আমরা বলেছিলাম, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। আজকের বৈঠকে সে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"
কীভাবে হবে অর্থ সংস্থান?
তবে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের অর্থ শেয়ার বিক্রি, ব্যাংক ঋণ নাকি সরকারি তহবিল থেকে আসবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উপদেষ্টা জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৭ হাজারের বেশি শ্রমিক পাওনার অপেক্ষায়
শ্রম উপদেষ্টা জানান, বেক্সিমকোর ২৭ হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারী এখনো পাওনা বুঝে পাননি। তবে অর্থসংস্থানের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

বিকল্প চাকরির ব্যবস্থা হবে কি?
শ্রমিকদের পুনর্বাসন বিষয়ে তিনি বলেন, “তাঁরা এখনো বেক্সিমকোর শ্রমিক। তবে কেউ যদি নতুন চাকরির সন্ধানে যান, সরকার সহায়তা করবে।”
বেক্সিমকোর ঋণ পরিস্থিতি
বেক্সিমকো শিল্পপার্কের আওতায় থাকা ৩১ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকঋণ ২৮ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৪ হাজার ৯৩২ কোটি টাকার সম্পদ বন্ধক রাখা হয়েছে, যা মোট ঋণের মাত্র ১৭.২৪%।
বৈঠকে জানানো হয়, বন্ধ হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১২টির অস্তিত্বই নেই, যার বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, রমজানের আগেই শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :