বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে রোগী যেসব নিয়ম মেনে চলবেন

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ১০:৩১ পিএম

গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে রোগী যেসব নিয়ম মেনে চলবেন

গ্যাস্ট্রিক আলসার

 গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগ হল এমন একটি রোগ যা পেটে বা নীচের পেটে, ছোট অন্ত্রের প্রথম অংশে বা ডুডেনামে আলসার সৃষ্টি করে। সাধারণত দুটি কারণে এই রোগ হয়। প্রথম কারণ ব্যাকটেরিয়া বা ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণ। ব্যাকটেরিয়াটির নাম হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি। আরেকটি কারণ হল অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা অন্যান্য NSAID ব্যথা উপশমকারী গ্রহণ করা।

এই রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, অম্বল, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা হ্রাস এবং ওজন হ্রাস। সাধারণভাবে, পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় প্রায়শই এই রোগে ভোগেন। কারণ যদি ব্যাকটেরিয়াজনিত হয়, পেপটিক আলসার অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে উপশম করা যায়। যদি এটি ব্যথানাশক ওষুধের সাথে যুক্ত হয় তবে ব্যথানাশক গ্রহণ বন্ধ করুন এবং ওমিপ্রাজলের মতো ওষুধ খান। পেটের আলসার বা পেপটিক আলসার সাধারণত খাবারের কারণে হয় না। তবে অনিয়ন্ত্রিত বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পেটের ক্ষতি করে। কিছু ক্ষেত্রে, পেটের আলসারের কারণে উপসর্গগুলি আরও খারাপ হয়।
তাই গ্যাস্ট্রিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

 

করণীয়

  • প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করবেন।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করবেন।
  • প্রতিদিন খাবারে শাকসবজি রাখবেন।
  • অল্প অল্প করে বারবার খাবেন। এভাবে প্রতিদিন ৫-৬ বার খাবেন।
  • মাছ খেতে পারবেন।
  • দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করবেন।
  • রাতে হালকা খাবার খেতে হবে।
  • রাতে খাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পর শুতে যাবেন বা ঘুমাতে যাবেন।
  • খাবার বসে খাবেন।
  • প্রতিদিন সময়মতো ও নিয়মিত খাবার খাবেন।

বর্জনীয়

  • ধূমপান করবেন না।
  • অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকবেন।
  • কফি, চকলেট, ঝালজাতীয় খাবার, তেল, চর্বি, ভাজাপোড়াজাতীয় খাবার না খেলেই ভালো।
  • ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকবেন।
  • পেট ভরে খাবেন না।
  • অনিয়মিতভাবে খাবেন না।
  • খাবারের সঙ্গে না খেয়ে বরং খাবারের পরে পানি পান করুন।
  • কোমল পানীয় পরিহার করবেন।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন-

  • রক্তবমি হলে
  • পেটে হঠাৎ তীব্র ব্যথা হলে
  • ওজন কমে গেলে
  • আলকাতরার মতো ঘন কালো পায়খানা হলে। উৎসব-আয়োজনে মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া বর্জন করতে হবে। হালকা খাবার খেতে হবে। কোমল পানীয়, ধূমপান সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে।  

 

Link copied!

সর্বশেষ :