গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৩০ অক্টোবর (বুধবার) জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা গ্রহণের পর হরিরামপুর ইউনিয়নের ডা. নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। টিকা নেয়ার পর বেশ কয়েকজন ছাত্রী শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয় বরং টিকা গ্রহণ নিয়ে ভয় এবং আতঙ্কের কারণে তারা অসুস্থ হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জায়েদ জামান জিতি জানান, ছাত্রীরা আতঙ্কে অসুস্থ হয়েছে এবং এর ফলে তাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, পেটব্যথা এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। এতে বড় কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি এবং এইচপিভি টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটেনি।
এইচপিভি টিকা নিয়ে গুজব প্রতিরোধে আহ্বান
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু জাফর এক সংবাদ সম্মেলনে জনগণকে এইচপিভি টিকা নিয়ে বিভ্রান্তিকর গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার পর ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৮ জন কিশোরীর মধ্যে ২৭১ জনের সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে যা খুবই সামান্য। এতে উদ্বেগের কোনো কারন নেই। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু অসুস্থতার কারণকে মানসিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর আগে ভোলার একটি টিকাকেন্দ্রে কিছু কিশোরী অজ্ঞান হওয়ার ঘটনায় ডা. আবু জাফর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ওই ঘটনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয় বরং মানসিক সমস্যার কারণে ঘটেছিল। সেখানে দুজন শিক্ষার্থী টিকা নেয়ার পর কিছুটা অসুস্থতা অনুভব করায় পাশের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে যায়।
এইচপিভি টিকার নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এইচপিভি টিকা অত্যন্ত নিরাপদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ভ্যাকসিন সেফটি (GACVS) এর বিশ্লেষণ অনুসারে এই টিকার সাথে বন্ধ্যাত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। এবারের লক্ষ্য টিকাদান কর্মসূচি ইপিআই) সম্প্রসারিত করে সাত বিভাগের ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ জন কিশোরীকে এইচপিভি টিকা প্রদান করা।
আপনার মতামত লিখুন :