ফোন হাতছাড়া হওয়ার এই অস্থিরতা, উদ্বেগ এবং ফোন ভুলে যাওয়ার ভয়কে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় "নোমোফোবিয়া" বা "নো মোবাইল ফোবিয়া"।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন যে মানুষের মধ্যে নোমোফোবিয়া পরিলক্ষিত হয়। এটি বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। সেল ফোন আসক্তি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কর্মক্ষমতা নেতিবাচক প্রভাব আছে. এটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, সোশ্যাল মিডিয়ার কারসাজি এবং অনলাইন গেমিং এই আসক্তির পিছনে কারণ। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জিনিসগুলি ভিন্ন। সেল ফোনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতাও "নোমোফোবিয়া" এর দিকে পরিচালিত করে।
নোমোফোবিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলি কী কী
১.সর্বদা ফোন বিজ্ঞপ্তি পরীক্ষা করা, কি ধরনের বার্তা এবং সেগুলি আদৌ গ্রহণ করা যায় কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
২. ফোনটি হাতে না থাকা পর্যন্ত, কী ঘটেছে এবং কী ঘটছে তার ভয় মাথায় কাজ করে।
৩. অনেকেরই প্যানিক অ্যাটাক হয় যখন তাদের সেল ফোনের ব্যাটারির চার্জ কম থাকে বা বন্ধ হয়ে যায় তখন কি করবেন ভেবে পান না। অস্থির বোধ করতে থাকে।
৪.সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে ক্রমাগত অ্যাক্সেস না পাওয়ার ভয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেশি উদ্বেগ দেখা যায়। সারাক্ষণ মাথায় তখনও একটা অদ্ভুত অস্থিরতা থাকে।
৫."উইথড্রয়াল সিম্পটম" প্রায়ই একটি সেল ফোন না থাকার অসুবিধার কারণে ঘটে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অনিদ্রা, অলসতা, খাওয়ার প্রতি অনীহা এবং ক্রমাগত বিরক্তি।
চিকিৎসা সময়মতো না নিলে কী হতে পারে
দিনের পর দিন এই সমস্যাগুলি এড়ানো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। মানসিক চাপ, বিষণ্নতা এবং একাকীত্বের সমস্যা বাড়তে পারে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য চলতে থাকলে, স্বাভাবিক ঘুমের চক্র ব্যাহত হতে পারে। যদি পরিস্থিতি কঠিন হয়, তাহলে আপনাকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
সমাধান কোন পথে
১.স্মার্টফোন কতক্ষণ ব্যবহার করা হয়েছে সেদিকে মনোযোগ দিন।
২.ফোনে এমন জিনিস না দেখাই ভালো যা হতাশা ও দুশ্চিন্তা বাড়াতে পারে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখার অভ্যাস করুন।
আপনার মতামত লিখুন :