সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদি এবং অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এর দ্বিতীয় সন্তান কন্যা সাবা আলি খান। ভারতীয় পতৌদি পরিবারের একজন উল্লেখযোগ্য সদস্য হয়েও বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে আছেন এই নবাব নন্দিনী। ভাই সাইফ আলি খান এবং বোন সোহা আলি খান অভিনয় জগতে সুপরিচিত মুখ। কিন্তু সাবার স্বভাব বরাবরই লাজুক। যার কারনে তিনি খুব সামান্যই ক্যামেরায় ধরা দেন।
সাবা আলি খানের জন্ম ও শৈশব
১৯৭৬ সালে মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া সাবা তার শৈশব কাটিয়েছেন সেখানে। তবে অল্প বয়সেই মা-বাবার সঙ্গে দিল্লিতে পাড়ি জমান তিনি। ছোটবেলা থেকেই সাবা ছিলেন অনেকটা ইন্ট্রোভার্ট স্বভাবের যার কারনে ক্যামেরা বা গ্ল্যামারের জগতে তার উপস্থিতি ছিল খুবই সীমিত।
সাবা আলি খান
সাবা আলি খানের ভিন্ন পেশা
মা শর্মিলা ঠাকুর, ভাই সাইফ আলি খান, বোন সোহা আলি খান এবং ভ্রাতৃবধূ করিনা কাপুর অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু সাবা কখনও অভিনয়কে পেশা হিসাবে বেছে নেননি। সিনেমার প্রতি আগ্রহ রয়েছে এবং পরিবারে এই চর্চা তিনি ভালোভাবেই উপভোগ করেন। তবে সাবা পেশা হিসাবে তিনি জুয়েলারি ডিজাইনিংকে বেছে নেন, যেখানে রয়েছে তার স্বতন্ত্র পরিচয়।
পতৌদি পরিবারের ট্রাস্ট ও সম্পত্তির দায়িত্ব
সিনেমা থেকে দূরে থাকলেও সাবার জীবনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। ভোপালে তাদের পতৌদি পরিবারের ট্রাস্ট অওকাফ-ই-শাহ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। অল্প বয়স থেকেই সাবা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বাবার জীবিত অবস্থায় তার সহযোগিতায় কাজ শুরু করেছিলেন এবং ২০১১ সালে মনসুর আলি খানের মৃত্যুর পর পুরো ট্রাস্টের দায়িত্ব সাবার কাঁধে এসে পড়ে। বর্তমানে তিনি ভোপালের ২৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তির প্রধান ট্রাস্টি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
জুয়েলারি ডিজাইনিংয়ের প্রতি ভালোবাসা
সাবা আলি খান তার পেশার প্রতি বরাবরই নিবেদিত প্রান। তিনি দিল্লি কলেজ অব আর্ট থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং পরবর্তীতে জেমোলজি ও জুয়েলারি ডিজাইনে ডিপ্লোমা করেছেন। বিশেষকরে তিনি হিরের গহনা ডিজাইন করেন। সাবা করিনা কাপুরের জন্য বিশেষ একটি গহনা ডিজাইন করেছিলেন সেখান থেকেই তার ডিজাইনের অনন্যতা প্রকাশ পায়।
সাবা আলি খান
সাবা আলি খানের নিজস্ব ডিজাইনিং লেবেল
৪৪ বছর বয়সী সাবা আলি খান নিজের নামে একটি ডিজাইনিং লেবেল পরিচালনা করেন। যদিও গ্ল্যামার জগতের সঙ্গে তিনি পরোক্ষভাবে যুক্ত তবুও ক্যামেরার সামনে খুব কমই আসেন। তাকে পেজ থ্রি বা সেলিব্রিটি লাইফস্টাইলের জগতে কমই দেখা যায়।
সাবা আলি খানের ব্যক্তিগত জীবন
সাইফ বা সোহার মতো এখনও পর্যন্ত বিয়ে করেননি সাবা আলি খান। তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। তবে তিনি একা থাকতে পছন্দ করেন বলেই মনে করা হয়। তিনি বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থেকে তার পেশা এবং পরিবারের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
উপসংহার
সাবা আলি খান তার পরিবারের গ্ল্যামারাস জগত থেকে নিজেকে আলাদা রেখেছেন এবং নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি একজন সফল জুয়েলারি ডিজাইনার এবং দায়িত্বশীল ট্রাস্টি। তার ব্যক্তিগত জীবন ও পেশা দুটোই তার নিজের মর্জিতে পরিচালিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :