৮৬ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা রন এলি, যিনি ‘টারজান’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর তাঁর মেয়ে ক্রিশ্চেন কাসালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে রন এলির মৃত্যু গত ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারার লস আলামোসে তাঁর নিজ বাড়িতে ঘটে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু ও জনপ্রিয়তা
রন এলির জন্ম হয়েছিল ১৯৩৮ সালে টেক্সাসে। তিনি ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। শুরুর দিকে তিনি বেশ কয়েকটি সিটকমে অভিনয় করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ফাদার নোজ বেস্ট’, ‘হাউ টু ম্যারি আ মিলিয়নিয়ার’, এবং ‘দ্য মেনি লাভস অব ডোবি গিলিস’। তবে তাঁর খ্যাতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় ১৯৬৬ সালে ‘টারজান’ টেলিভিশন সিরিজে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে। এই চরিত্রটি তাঁকে একটি বিশেষ পরিচিতি এনে দেয় এবং তিনি হলিউড সুপারস্টার বনে যান, যা এখনো দর্শকের মনে অমলিন।
ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবার
রন এলির ব্যক্তিগত জীবন ছিল কিছুটা জটিল। ১৯৫৯ সালে তিনি তাঁর স্কুলজীবনের প্রেমিকা জেন ট্রিপলেটকে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু দুই বছরের মাথায় তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর আশির দশকে মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতা সঞ্চালনার সময় তিনি ভ্যালেরি লুনডেনের সঙ্গে পরিচিত হন এবং তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির তিনটি সন্তান ছিল। তবে ২০১৯ সালে এক মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হন রন এলি। তাঁর নিজের ছেলের গুলিতে তাঁর স্ত্রী ভ্যালেরি নিহত হন, যা রন এলির জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
রন এলির অন্যান্য পরিচয়
অভিনয়ের বাইরেও রন এলি একজন লেখক, প্রশিক্ষক এবং মেন্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁর মেয়ে ক্রিশ্চেন কাসালে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, “আমার বাবা ছিলেন এমন একজন, যাকে মানুষ হিরো বলত। তিনি ছিলেন একজন প্রিয় অভিনেতা, লেখক, মেন্টর এবং পরিবারের প্রতি নিবেদিত একজন নেতা।”
উপসংহার
রন এলির মৃত্যু বিনোদন জগতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং পরিবার ও পেশার প্রতি তাঁর ভালোবাসা তাঁকে অনন্য করে তুলেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :