বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আবারও তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম

আবারও তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া

চীনের সামরিক বাহিনী আবারও তাইওয়ানের চারপাশে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। চীনের ভাষ্যমতে, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এটি একটি কঠোর সতর্কবার্তা। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনা সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এই মহড়াটি পরিচালনা করছে এবং এর নাম দেওয়া হয়েছে “জয়েন্ট সোর্ড-২০২৪বি।”

চীনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, মহড়াটি মূলত তাইওয়ান প্রণালি এবং তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মহড়ার লক্ষ্য নৌ এবং বিমান যুদ্ধপ্রস্তুতির উন্নয়ন, প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করা এবং স্থল ও নৌ লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এটি একটি বৈধ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যা চীনের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্য রক্ষার জন্য করা হচ্ছে। তবে মহড়াটি কখন শেষ হবে সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।

এই মহড়ার পেছনের কারণ হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই ছিং এর দেওয়া একটি বক্তব্য। সেই বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন যে বেইজিংয়ের কোনও অধিকার নেই তাইপেকে প্রতিনিধিত্ব করার। চীনের প্রেসিডেন্ট লাইয়ের এই বক্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি। কেননা তারা তাইওয়ানকে চীনের অখণ্ড অংশ হিসেবেই বিবেচনা করে এবং যেকোনো সময় সম্পূর্ণ দখলের হুমকিও দিয়ে থাকে।

মহড়ার সময় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট। এমনকি তাদের সামরিক বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি-জেনারেল জোসেফ উ এই সামরিক মহড়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘অন্য দেশকে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে হুমকি দেওয়া কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি।’ চীনের এমন পদক্ষেপকে তিনি তাইওয়ানের শান্তিপূর্ণ সহযোগিতার প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে মনে করেন।

চীনের সাম্প্রতিক মহড়াটি তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী কার্যক্রমকে দমন করার একটি পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর ফলে চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

 

Link copied!

সর্বশেষ :