আজ বুধবার দেশের আটটি বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বেশ কিছু স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে নেত্রকোনায়। অন্যদিকে রাঙামাটিতে ৪৫ মিলিমিটার, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৩৬ মিলিমিটার, চুয়াডাঙ্গায় ২৩ মিলিমিটার এবং ময়মনসিংহে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও আরিচায় ১৯ মিলিমিটার এবং টাঙ্গাইলে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তাপমাত্রার দিক থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নেত্রকোনায় ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামীকাল বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে কিছু কিছু স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে দু-এক স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শেরপুরের ভুগাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ময়মনসিংহের নেতাই নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি সামান্য বেড়েছে, তবে তা এখনও বিপদসীমার নিচেই রয়েছে।
তবে নেত্রকোনা জেলার উব্দাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কারণে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করা হয়েছে।
বন্যায় মোট ১৩টি উপজেলার ৭২টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৬৭ হাজার ৫২০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :