পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ বছর গরুর চামড়ার দাম সামান্য বাড়ানো হয়েছে। প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় রাজধানী ঢাকায় ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
ঘোষিত দর অনুযায়ী, ঢাকার মধ্যে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার প্রতি বর্গফুটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। গত বছর এ দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতিটি চামড়ার সর্বনিম্ন দাম হবে ১২০০ টাকা।
অন্যদিকে ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। গত বছর এ দাম ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। এবার ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতিটি গরুর চামড়ার দাম হবে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে আজ সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি বছর সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে থাকে। তবে এবার প্রথম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। সভা শেষে চলতি বছর চামড়ার দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
গরুর চামড়ার পাশাপাশি খাসি বা ছাগলের চামড়ার দাম ঘোষণা করে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সারা দেশে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম হবে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকায় কিনতে হবে। গত বছর খাসির চামড়ার দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা বর্গফুট।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া যেহেতু ট্যানারি মালিকরা কিনে নেন, তাই এবার দাম ঘোষণা করবেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এরপরই মহিউদ্দিন মহিউদ্দিন গরু-খাসির চামড়ার দাম ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব সেলিম উদ্দিন জানান, চলতি বছর কোরবানির জন্য সারাদেশে ১ কোটি ২৯ লাখ পশু প্রস্তুত রয়েছে। আগের বছর দেশে ১ কোটি ১ লাখ পশু কোরবানি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :