৪ অক্টোবর সকাল থেকে শেরপুর এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন অংশে আকস্মিক বন্যার কারণে ১৬৩টি গ্রাম প্লাবিত। টানা ভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় তলিয়ে গেছে অন্তত ১১৩টি গ্রাম।
একই অবস্থা ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায়। সেখানেও ৫০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে অসংখ্য ফসলি জমি এবং ভেসে হেছে পুকুরের মাছ। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। নদীর বাঁধ ভেঙে এবং অতিরিক্ত পানি উপচে পড়ার কারণে নালিতাবাড়ী-নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়কসহ এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার আমন ধানের খেত ও বহু সড়ক তলিয়ে যাওয়ার ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, ফলে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এলাকাগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এমনক নেই মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আকস্মিক বন্যা এবং পাহাড়ি ঢলের কারনে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছাতে পারেনি। তাদের উদ্ধার কার্য চলছে। এছাড়াও বন্যায় ইতিমধ্যে তিন জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন অজ্ঞাতপরিচয়ের এবং একজন নয়াবিল ইউনিয়নের খলিশাকুড়া গ্রামের বৃদ্ধ ইদ্রিস আলী।
শেরপুর ও ময়মনসিংহে এই আকস্মিক বন্যার প্রধান কারণ টানা ভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢল। পাহাড়ি অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ঢলের পানি নিচু এলাকায় নেমে এসেছে এবং দ্রুত নদীগুলোর পানির স্তর বাড়িয়ে তুলেছে। এতে ভোগাই, চেল্লাখালী এবং নেতাই নদীর মতো নদীগুলোর পানি বাঁধ ভেঙে এবং পানি উপচে আশেপাশের এলাকায় প্রবাহিত হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে নদীগুলোতে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে নদীর আশেপাশের গ্রাম ও সড়কগুলোকে প্লাবিত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :