দাস প্রথা বিলুপ্ত করার পর ব্রিটিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে দাস মালিকদের ২০ বিলিয়ন, অর্থাৎ দুই হাজার কোটি পাউন্ডের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই সব হিসাব শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি।
ক্রীতদাস কেনাবেচায় পরোক্ষভাবে জড়ানোর দায় থেকে মুক্ত হতে এমনকি চার্চ অব ইংল্যান্ডকেও আরও অনেকদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
২০২৩ সালে গির্জার ধর্মযাজকদের নেতারা স্বীকার করেন, চার্চ অব ইংল্যান্ড সাউথ সি কোম্পানি নামের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থানুকূল্য পেয়ে আসছে, যারা অষ্টাদশ শতকে ক্রীতদাস কেনাবেচা করত।
ওই বছরের জানুয়ারি মাসে চার্চ অব ইংল্যান্ডকে দাস প্রথার ভুক্তভোগীদের স্বার্থে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিময়ের পরামর্শ দেন চার্চ কমিশনাররা।
তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, নয় বছরে এই অর্থ বিনিয়োগ করার কথা। নয় বছরে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতিপূরণের বড় একটি অংশ আসবে চার্চ অব ইংল্যান্ডের সদস্যদের কাছ থেকে।
সারা বিশ্বের অ্যাংলিকান খ্রিস্টানদের প্রধান গির্জা চার্চ অব ইংল্যান্ড। তাদের সদস্য সংখ্যা সাড়ে আট কোটির মতো।
সোমবার চার্চ অব ইংল্যান্ডকে ওভারসাইট গ্রুপ বলেছে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড যথেষ্ট নয়।
স্বাধীন এই উপদেষ্টামণ্ডলী আরও বলেছে, চার্চ অব ইংল্যান্ডকে তহবিল দশগুণ বাড়াতে হবে।
চার্চ অব ইংল্যান্ড অবশ্য মনে করে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ মিলিয়নই যথেষ্ট।
দশগুণ অন্তত বাড়াতে হলে এবং ওভারসাইট গ্রুপের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত এ অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করতে হলে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে চার্চ অব ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে।
ডয়চে ভেলে অবলম্বনে
আপনার মতামত লিখুন :