মেটার ৩ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক
বাংলাদেশে মেটার পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার, প্রাইভেসি, এআই বিশেষজ্ঞ আরিয়ান জিমেনেজ এবং কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ নয়নতারা নারায়ণের সাথে বৈঠক করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকে ফেসবুকে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি ইত্যাদি বিষয়ে ফেসবুক প্রতিনিধি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের উর্বরতম স্থান বিবেচনায় বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের আহ্বান জানান পলক।
তবে এসব আহ্বান বা দাবির সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস দেননি প্রতিনিধি দলের কেউই। বুধবার আইসিটি টাওয়ারে প্রতিমন্ত্রীর দফতরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সরকারের এনহেন্সিং ডিজটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল ইকোনোমি প্রকল্প প্রধান ও নীতি উপদেষ্টা মোঃ আব্দুল বারী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর রচিত বই অতিথিদের উপহার দেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
এর আগে আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মেটার প্রতিনিধিদের বলেছেন, বাংলাদেশ ফেসবুকের কাছে নিয়মিত তথ্য চায়। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রথম তথ্য দেয় ফেসবুক। দেশের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা যেন কোন তথ্য ফেসবুকের কাছে চাওয়া মাত্রই পাই সেজন্য বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের পূর্বের ন্যায় জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সেবাকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে দেশে এআই পাওয়ার্ড গভর্নমেন্ট ব্রেইন তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এআই’র নেতিবাচক ব্যবহার কমানো এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার একটি এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) আইন করতে চায়। মেটা চাইলে বাংলাদেশের এআই পলিসি এর খসড়া প্রণয়ণে অংশগ্রহণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পার্সোনাল ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট (পিডিপিএ) এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পলিসি শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই নয়, এটি বৈশ্বিক ইস্যু। আমরা উদারনৈতিক ও আধুনিক আইন প্রণয়নের কাজ করছি। আমরা মেটাকে শুধুমাত্র একটি কোম্পানি বিবেচনা করি না, আমরা চাই প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান সৃজন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে আরো বেশি মনোনিবেশ করবে ফেসবুক।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ফেসবুক হলো মানুষকে সংযুক্ত করার একটি মাধ্যম। আমি এর পজিটিভ দিক নিয়ে কাজ করছি ও ভবিষ্যতেও চাই। আমরা সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইন্ডিয়া এর পলিসির আদলে আইন করতে চাই।
সূত্রমতে, ফেসবুকে বাংলা কন্টেন্ট-এ হেইট স্পিচ সনাক্তে বাংলা এআই এর ব্যবহার, দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিবেচনায় কনন্টেন্ট মডারেশনের বিষয়ও বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে। ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং কমিউনিটি গাইডলাইন বাস্তবায়নে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এর মালিকানাধীন মেটার প্রতিনিধি দল তাদের অবস্থান ব্যখ্যা করেছেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যে আহ্বান জানানো হয়েছে সে বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে মেটা পরিচালনা বোর্ডের সামনে উপস্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :