দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামী ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। বিসিএসের নির্বাচন বোর্ড আজ সোমবার এক নোটিশে এ তথ্য দিয়েছে। রাজধানীর মিন্টো রোডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। কার্যনির্বাহী কমিটির পাশাপাশি একই সময়ে বিসিএসের রংপুর ও সিলেট শাখার কমিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণও করা হবে। বিসিএসের মোট ১১টা শাখার মধ্যে বাকি ৯টি শাখার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। একই দিনে নির্বাচনের ভোট গণনা, ফলাফল প্রকাশ ও নির্বাচিতদের মধ্যে পদ বন্টন করা হবে।
গত ৯ জানুয়ারি বিসিএসের ২০২৪-২৬ মেয়াদের কমিটির নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত ৭ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটা। বিসিএসের নির্বাহী কমিটির ৭টি পদে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্ধারিত সময়ের পর জমা দেওয়ায় নির্বাচন বোর্ড দুজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। পরে তাঁরা আপিল করলে আপিল বোর্ডও একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর গত মাসে ওই দুই প্রার্থী নির্বাচন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) বরাবর আপিল করেন। পরে ডিটিও ওই দুটি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সিদ্ধান্ত দেয়।
এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির পর ১৮ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ওই দুটি মনোনয়নপত্র বৈধ রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল রোববার বিসিএস নির্বাচনের বাকি প্রক্রিয়ার দিন–তারিখ ঠিক করেছে নির্বাচন বোর্ড। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিটিওর চিঠি পাওয়ার পর নির্বাচন বোর্ড সভা করে ভোট গ্রহণসহ বাদবাকি প্রক্রিয়ার দিন-তারিখ নির্ধারণ করেছে।’
বিসিএসের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৭টি পদে এখন প্রতিদ্বন্দ্বী ৯ প্রার্থী হলেন সুব্রত সরকার, মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, আনিসুর রহমান, এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবদুল জলিল, মো. মনজুরুল হাসান ও এইচ এম শাহ নেওয়াজ। কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বিসিএসের আরও ১১টি শাখা কমিটির নির্বাচনও একই সঙ্গে হবে। ৯টি শাখার কমিটির জন্য সাতজন করে প্রার্থী থাকায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। রংপুরে ১৪ ও সিলেটে ১১ জন প্রার্থী থাকায় এই দুটি শাখার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। বিসিএসের মোট ভোটারসংখ্যা ২ হাজার ১৫০।
আপনার মতামত লিখুন :