এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলা হবে ১ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। সে অনুযায়ী প্রতিটি দল ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। উপরন্তু, আইসিসি এই বছরের ইভেন্টের জন্য ভেন্যু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। আইসিসির প্রকাশিত সাম্প্রতিক ছবিগুলি দেখায় যে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে এখনও নির্মাণ কাজ চলছে। আর এই স্টেডিয়ামের জন্য অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে আনা হয়েছিল ১০টি পিচ । তাই, বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এই ক্ষেত্রগুলিকে প্রায় ১৪,০০০ মাইল (প্রায় ২২,৫৩০ কিমি) ভ্রমণ করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে জাহাজে ফ্লোরিডা এবং তারপর স্থলপথে সেগুলো নিউইয়র্ক পৌঁছাবে।
এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিসি`র বড় কোনো টুর্নামেন্ট। অস্ট্রেলিয়ার থেকে নেয়া হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পিচ। নিউইয়র্কের এ স্টেডিয়াম ছাড়াও টেক্সাস ও ফ্লোরিডার দুটি ভেন্যুতে হবে বিশ্বকাপের যুক্তরাষ্ট্র-অংশের ম্যাচগুলো। সব মিলিয়ে ১৬টি ম্যাচ হবে সেখানে। আর ৩৯টি ম্যাচ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
এর মধ্যে নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের প্রথম ‘অস্থায়ী’ স্টেডিয়াম। এ প্রযুক্তিতে স্টেডিয়ামটির বেশির ভাগ অংশই বানানো হচ্ছে অস্থায়ীভাবে, যেগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। গ্যালারির একটা অংশ যেমন ফর্মুলা ওয়ানে গত বছরের লাস ভেগাস গ্রাঁ প্রিঁ ব্যবহার করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে পিচ বানিয়ে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর দায়িত্বে আছেন অ্যাডিলেড ওভাল পিচ কিউরেটর ড্যামিয়ান হাফ। বিবিসিকে হাফ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এমন পিচ বানানো যেখানে পেস থাকবে। বাউন্সের ভারসাম্য থাকবে। ব্যাটাররা যাতে শট খেলতে পারে। তবে চ্যালেঞ্জ আছে সেখানে।’
আগামী ১ জুন ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচটি ৩ জুন, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার। এই মাঠেই ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ১১ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড।
আপনার মতামত লিখুন :