বাংলাদেশ বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

নোমান আলীর ৮ উইকেটে তিন বছর পর পাকিস্তানের ঘরের মাঠে টেস্ট জয়

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম

নোমান আলীর ৮ উইকেটে তিন বছর পর পাকিস্তানের ঘরের মাঠে টেস্ট জয়

দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের দুর্দান্ত জয়। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় পর ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। মুলতানে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরালো পাকিস্তান। পাকিস্তানের জয়ের মূল কারিগর ছিলেন দুই স্পিনার নোমান আলী ও সাজিদ খান। তাদের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের কারনে সহজেই ইংল্যান্ডকে পরাজিত করতে পেরেছে।

নোমান আলীর ৮ উইকেট সংগ্রহ

পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলী তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৪৪ রানে অলআউট করেন। তিনি একাই ৮ উইকেট শিকার করেন মাত্র ৪৬ রান দিয়ে। পাকিস্তানের জন্যও এই ম্যাচটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কেননা প্রায় সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ঘরের মাঠে এটা তাদের প্রথম জয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের ম্যাচে ছিলো তাদের শেষ টেস্ট জয়। এরপর নিজেদের মাটিতে টানা ১১ ম্যাচ জয়হীন থাকার পর অবশেষে এই জয় আসে।

দুই স্পিনারের দুর্দান্ত জুটি

পাকিস্তানের দুই স্পিনার নোমান আলী এবং সাজিদ খান মিলে পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের একের পর এক আউট করে চাপে ফেলে দেন। প্রথম ইনিংসে সাজিদ ৭ উইকেট নেন এবং নোমান শিকার করেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে নোমান আরও ৮ উইকেট নেন এবং সাজিদ নেন ২ উইকেট। এই টেস্টে তারা দুজনে মিলে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটের সবকটি দখল করেন, যা টেস্ট ক্রিকেটে একটি বিরল ঘটনা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দুই বোলার মিলে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেয়ার ঘটনা এই ম্যাচ সহ সপ্তমবার ঘটলো। পাকিস্তানের জন্য এটি দ্বিতীয়বার।

মাসুদের অধিনায়কত্বে প্রথম জয়

পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদের জন্যও এই জয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তার নেতৃত্বে এর আগে পাকিস্তান টানা ৬টি টেস্ট ম্যাচ হেরেছিল। তবে ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই জয়ের মাধ্যমে সেই হারের লজ্জা ভাঙ্গতে পেরেছেন তারা।

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয়

২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৬১ রান এবং পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ উইকেট। তবে মাত্র ২২.৩ ওভারে ইংল্যান্ড তাদের বাকি উইকেট হারিয়ে ফেলে এবং মাত্র ১০৮ রান যোগ করতে পেরেছে। বেন স্টোকস সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন এবং ব্রাইডন কার্স করেন ২৭ রান। তবে তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংও দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। নোমান ও সাজিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ইংল্যান্ড অসহায় হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত ৩৩.৩ ওভারে তারা অলআউট হয়ে যায়।

রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। যা শুরু হবে ২৪ অক্টোবর। এখন পর্যন্ত পাকিস্তান- ইংল্যান্ড দুই দল ১-১ সমতায় রয়েছে।

 

Link copied!

সর্বশেষ :