বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আবারও কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ভারতের মাটিতে টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের পর আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। যদি আজও হেরে যায় তাহলে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও একই পরিণতি বরণ করতে হবে বাংলাদেশের।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। আইসিসি ইভেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ—সবখানেই ভারত শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে লাল-সবুজের দলের জন্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো খেললেও ভারতের বিরুদ্ধে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ম্যাচে বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটিংই বেশি ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া এবং নিতীশ রেড্ডিরা বাংলাদেশের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি। তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমানরা ভালো শুরু করলেও, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রানের চাকা থামাতে পারেননি। তাই আজকের ম্যাচে ভারতের ইনফর্ম ব্যাটসম্যানদের থামানোই বড় চ্যালেঞ্জ।
এর পাশাপাশি, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সের অভাব দলকে চাপের মুখে ফেলেছে। লিটন দাস এবং শান্তরা বড় শট খেলতে ব্যর্থ হচ্ছেন, ফলে পুরো দলের রান সংগ্রহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে ভারতের আর্শদীপ সিং এবং বরুণ চক্রবর্তীর মতো বোলারদের মোকাবিলা করতে না পারায় আজ ব্যাটসম্যানদের রানে ফেরা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের জন্য আরেকটি দুশ্চিন্তার কারণ হলো হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের উইকেট, যেখানে উচ্চ রানের ম্যাচ হয়। এই মাঠে সর্বশেষ আইপিএল ম্যাচে ৫২৩ রান হয়েছিল। যদিও উইকেট কিছুটা স্পিনারদের সহায়ক হতে পারে। তবুও এখানে নিরাপদ রান ধরা হয় ২০০ এর বেশি। এছাড়াও আজকের ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় টস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলাদেশ কি পারবে আজ নিজেদের ছন্দে ফিরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে? উত্তরটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :