বাংলাদেশ শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

সবরকম সম্ভাবনা সত্ত্বেও এগুচ্ছে না পর্যটন খাত, কিন্তু কেন?

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪, ০৯:৫১ এএম

সবরকম সম্ভাবনা সত্ত্বেও এগুচ্ছে না পর্যটন খাত, কিন্তু কেন?

প্রাকৃতিক নৈঃসর্গের দেশ বাংলাদেশ। এর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অপার সৌন্দর্য, যা কিনা কাছে টানে দেশি- বিদেশি পর্যটকদের। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন, বিস্তৃত হাওড়াঞ্চল, বিশাল পার্বত্যাঞ্চল, মহাস্থানগড় এবং পাহাড়পুরের হাজার বছরের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সমৃদ্ধ এদেশে রয়েছে ভ্রমণপিপাসু একজন মানুষকে আকর্ষণ করার মতো অনেক কিছু। কিন্তু কেন যেন সেভাবে এগুতে পারছে না দেশের পর্যটন খাত।

বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক ঐতিহাসিক ও সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রাকৃতিক আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও তাদের আসার হার খুবই কম। এমনকি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক দেশীয় পর্যটক অবকাশযাপনে যান বিদেশে।

ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা থেকে শুরু করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পর্যটন শিল্প তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। এসব দেশের জাতীয় আয়ের অনেকটাই আসে পর্যটন থেকে। এমনকি রক্ষণশীল মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, কাতার, মিশরসহ অন্যান্য দেশও পর্যটনে পিছিয়ে নেই। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াও পর্যটনে এগিয়ে গেছে বহুদূর। পুরো বিশ্বের পর্যটকদেরই কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য এখন এসব দেশ।

প্রতিবেশী দেশগুলোর জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান অনেক বেশি হলেও এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় প্রচারণা, উন্নত সেবাদানে দক্ষতার অভাব, পর্যটকদের অতিরিক্ত খরচসহ দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার অভাবটাই সবচেয়ে বেশি প্রকট। মূলত পর্যটকবান্ধব সুযোগ-সুবিধা না দিতে পারার কারণেই পশ্চিমা পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এদেশ থেকে। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলোতে সারা বছরই লেগে থাকে পশ্চিমা পর্যটকদের ভিড়।

 পর্যটন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকার প্রয়োজন তার অনেক কিছুই বাংলাদেশে অনুপস্থিত। বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতকেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে আছে বার, ক্যাসিনো, নাইটক্লাবসহ নানান সুযোগ-সুবিধা। 

কিন্তু বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতায় কক্সবাজারসহ দেশের পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে বর্তমানে বিদেশি পর্যটকদের জন্য এসব সুবিধা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। মূলত এসব কারণেই বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশকে তাদের ভ্রমণ তালিকায় রাখেন না বলে মনে করেন দেশের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের দক্ষতার অভাবের পাশাপাশি  সরকারি পর্যটন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পর্যটন কর্পোরেশনেরও রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা।

যেখানে পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের ভিড়ে জায়গা দিতে পারে না কক্সবাজারের বেসরকারি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো, সেখানে কক্সবাজারে অবস্থিত লাবণি, প্রবাল ও শৈবালসহ পর্যটনের হোটেল-মোটেলগুলোর বেহাল অবস্থা। স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষ ও পুরোনো আসবাবপত্র সহ হোটেলের নিম্নমানের সার্ভিসের কারণে পারতপক্ষে এসব জায়গায় পা রাখতে চান না কক্সবাজার ভ্রমণে যাওয়া মানুষ জন। অথচ কক্সবাজারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লোকেশনে ১৩৫ একরের বিশাল এলাকাজুড়ে পর্যটন কর্পোরেশনের এসব হোটেল মোটেলের অবস্থান।

 এগুলোর বেহাল দশা সম্পর্কে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পরিচালক এ কে এম তারেক সময় সংবাদকে বলেন, কক্সবাজারের পর্যটনের বিভিন্ন হোটেল-মোটেলকে পর্যটন কর্পোরেশনের তরফে লিজ দেয়া হয়েছিলো। তবে এ ব্যাপারে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। কারণ লিজগ্রহীতারা লিজের শর্ত ঠিকভাবে প্রতিপালন করে এসব হোটেল-মোটেলকে রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। তাদের ঝোঁক ছিলো শুধু মুনাফার দিকে। 

 তাইতো আর লিজ নয়; এগুলোকে ঢেলে সাজাতে বিনিয়োগকারী খোঁজা হচ্ছে পর্যটন কর্পোরেশনের পক্ষে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এরই মধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছেন। উপযুক্ত বিনিয়োগকারী পেলেই এগুলোকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হবে। কক্সবাজারের বাইরে কুয়াকাটা এবং রাঙ্গামাটিতে পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেলে সুইমিংপুল স্থাপনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।

 এছাড়া কক্সবাজারের মোটেল শৈবালেও বিদেশি পর্যটকদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।

তবে প্রয়োজনীয় তহবিল সঙ্কটের কারণে পর্যটন কর্পোরেশনের অনেক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা থমকে আছে। তহবিল পাওয়া গেলে পর্যটন কর্পোরেশনের স্থাপনাগুলোর মান আরও উন্নত করার পাশাপাশি সেবার মান আরও উন্নত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন পর্যটনের পরিচালক।

 তিনি বলেন, 

 এরই মধ্যেই চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের সামনেও বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। তারা রাজি হলে জিটুজি পদ্ধতিতে বিনিয়োগ হবে।

এদিকে, দেশীয় ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি পর্যটকদের দেশে আনতে ব্যর্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের সেবার মান ও দক্ষতা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। এছাড়া পর্যটন সেবা দেয়ার নামে বিভিন্ন ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণারও নানা অভিযোগ প্রায়ই উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। অথচ দেশের পর্যটন খাতের বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বেসরকারি খাত।

 এ ব্যাপারে দেশের বেসরকারি পর্যটন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ সময় সংবাদকে বলেন, দেশে বিদেশি পর্যটকদের আসার হার কম হওয়ার মূল কারণ হলো দেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোর পর্যাপ্ত ব্র্যান্ডিংয়ের অভাব। বিদেশিদের সামনে দেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোকে তুলে ধরতে হবে। 

 এর জন্য এ খাত সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার পাশাপাশি সরকারেরও উদ্যোগ প্রয়োজন।  এরই মধ্যে টোয়াবের উদ্যোগে দেশের বাইরেও বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোকে উপস্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের বাইরে বিভিন্ন ট্যুরিজম এক্সপোতে অংশ নিচ্ছেন টোয়াব সদস্যরা। সেখানে বিদেশিদের সামনে দেশের পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশেও অনুষ্ঠিত পর্যটন মেলাতে বিদেশি পর্যটন সংস্থা ও ট্যুর অপারেটরদের টোয়াবের উদ্যোগে আনা হচ্ছে।

 তবে দেশের পর্যটন সেবা খাতে বিভিন্ন অনিয়ম, জালিয়াতি, প্রতারণা ও গ্রাহক ভোগান্তি প্রতিরোধে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ যেন পর্যটন ব্যবসা করতে না পারে সেজন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান টোয়াবের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি অনেক কমবে বলেও তিনি দাবি করেন।

 টোয়াবের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পেশাদার যে কোন পর্যটন ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানই টোয়াবের সদস্য হতে পারেন, এক্ষেত্রে কোন জটিলতা নেই। তবে টোয়াবের পক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই তাদের সদস্য করা হয়, যেন এ সব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা পেতে গ্রাহকরা কোন ভোগান্তির মুখে না পড়েন।

 এ ব্যাপারে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পর্যটন খাতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি অঘটনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এর সবই ঘটেছে ভুইফোঁড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে, যাদের ব্যবসা করার কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। এ বিষয়গুলো তদারকি করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আব্দুর রউফ।

 এদিকে, দেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনা, সমস্যা ও সমস্যা দূর করার উপায় নিয়ে ট্যুরিজম বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে না পারার অন্যতম কারণ ভিসার জটিলতা। অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের সামনে দেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোর প্রচার-প্রচারণার ব্যাপারেও আমরা তেমন ভূমিকা পালন করতে পারছি না।’

 এক্ষেত্রে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে অধ্যাপক বদরুজ্জামান বলেন, সেক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোতে পর্যটন খাতে অভিজ্ঞদের নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।

 পাশাপাশি দেশের পর্যটন খাত নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,

 পর্যটন খাত প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। যেসব দেশ পর্যটনে এগিয়ে রয়েছে তারা কোন ধরনের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করছে, তারা কোন ধরনের সেবা দিচ্ছেন, এটা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। পর্যটনকে যারা জানেন এবং বোঝেন তাদেরকেই এই সেক্টরে সুযোগ দিতে হবে। এর সঙ্গে গবেষণাকেও এই সেক্টরে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য আমলাতান্ত্রিকতাকে পরিহার করে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে হবে।

অধ্যাপক বদরুজ্জামান বলেন, দেশে যারা বাণিজ্যিকভাবে ট্যুরিজমের ব্যবসা করেন সেই ট্যুর অপারেটরদের মধ্যেও এ খাত সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাব রয়েছে। তাদের অনেকেই পর্যটন সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। মূলত দক্ষতার অভাবে ট্যুর অপারেটররা বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে পারছেন না।

 দেশের পর্যটন খাতে সম্পদের কোন অভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য মার্কেটিং করতে হবে, দেশের পর্যটনকে বিদেশিদের সামনে তুলে ধরতে হবে, এজন্য দক্ষ মানব সম্পদের বিকল্প নেই।

অবকাঠামোগতভাবে দেশ এগিয়ে গেলেও পর্যটন বান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক বদরুজ্জামান বলেন, পর্যটন আকর্ষণ স্থানগুলোতে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি পর্যটনে আরেকটি সমস্যা হলো প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো সম্পর্ক পর্যটনে আগ্রহীরা পর্যাপ্ত তথ্য পায় না।

 এছাড়া পর্যটন খাতে দেশে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন অধ্যাপক বদরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিশ্বের জিডিপিতে পর্যটন খাতে অবদান ১১ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে এ অবদান মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। তাই পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে।

 এসব সমস্যা সমাধানে দেশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণী সংস্থাগুলোতে পর্যটনের বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া তাদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন অধ্যাপক বদরুজ্জামান।

 


 

Link copied!

সর্বশেষ :