ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় চার মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত পোশাককর্মী চম্পা খাতুন আজ রবিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। চম্পা আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানা জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড এর কর্মী ছিলেন। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আমোদপুর গ্রামে। মৃত্যুকালে ৩০ বছর বয়সী চম্পা খাতুন দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
গত বুধবার সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের বাংলাবাজার এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয় যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন, তাদের মধ্যে ছিলেন চম্পা খাতুন, মোরশেদা বেগম, ববিতা আক্তার এবং হালিমা খাতুন। চম্পা এবং মোরশেদা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাদের দ্রুত ঢাকায় চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আজ সকালে চম্পা মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মারুফা বলেন শারীরিক আঘাতের কারণে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।
চম্পার খালা রাশেদা খাতুন জানান সংঘর্ষের সময় বুকে গুলি লাগার কারণে চম্পার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া তার বাম হাতে গুলি লেগে মাংস ছিঁড়ে গেছে। চম্পার মৃত্যুতে তার দেড় বছরের একমাত্র একটি কন্যাসন্তান এতিম হয়ে গেল। খালা আরো জানান, চম্পার লাশ রংপুরে দাফন করা হবে।
তবে এ ঘটনায় আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের গুলি ছোড়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :