আমাদের ঈদের অবস্থা ও বর্তমানে আমরা

ঈদ তাদের উপাসনাকে প্রতিফলিত করে না, যেমনটি আজ আমাদের অনেকের জন্য হয়। রমজানে রোজা রাখার ফল এই দিনে তাদের কথা ও কাজে প্রতিফলিত হয় না। তারা ঈদের জন্য প্রস্তুতি নেয়, নিজেদের মধ্যে মগ্ন থাকে, পরিকল্পনায় নিমগ্ন থাকে এবং ঈদ উপভোগ করে যেন তারা কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে। আপনি কি কারাগারে একজন ক্রীতদাস নাকি মুক্তি পেতে চলেছেন? তাই এই অবারিত আনন্দ আর বিচরণ। আমি কি রাখতে হবে জানি না. ভদ্রতা এবং অহংকারে কে কাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে তা দেখার জন্য একটি প্রতিযোগিতা।

চোখ ও অন্তরের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সব ধরনের পদ্ধতি ও উপকরণ রয়েছে এবং সর্বোত্তম উপায় হল সেগুলোর অনুশীলন ও প্রসারিত করা। পোশাক ও খাদ্য, খাদ্য ও ব্যায়াম, ব্যায়াম ও বিনোদন, জমায়েত ও সামাজিকতা থেকে শুরু করে বিনোদনের অনুষ্ঠান ও আয়োজন কোনো কিছুই হালাল বা হারাম নয়।

তারা মাসের প্রথম দিনে শান্তি ও সংযমের সাথে কাটানো মাসের বরকত নষ্ট করে। যেসব মুসলমান শরীয়তের প্রতি অনুগত এবং শরিয়া পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের জানা উচিত যে আনন্দ শরিয়া দ্বারা নিষিদ্ধ নয়। যাইহোক, এটি অবশ্যই শরিয়া দ্বারা নির্ধারিত এবং অনুমোদিত ক্রমে করা উচিত। বিশেষ করে যখন শরিয়া নিজেই এই সুযোগটি দেয় সুখের জন্য, একটি মহৎ উদ্দেশ্যে, শরীয়তের একটি মহান নিদর্শন ও প্রতীক হিসেবে।

একজন প্রকৃত মুসলমান ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী সবকিছু করে। কী সেবা আর কী উদযাপন! আমি যেভাবে চাই সেভাবে নয়। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, অন্তরের চাহিদা পূরণের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী এবং ক্ষণস্থায়ী হলেও এর ক্ষতি ও যন্ত্রণা অসীম ও চিরন্তন।সাহাবাগণ রহমত চাইলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! এই মাফের রাত কি শবা কদর নয়? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, বরং মুসনাদে আহমাদে কাজ শেষ হওয়ার আগেই শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়।আজ রাতে দোয়া কবুল হবে। কোন প্রার্থনা অনুপস্থিত হয়. বরং সরাসরি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। তাই এ রাতের তাৎপর্য ও ফজিলত অপরিসীম।

মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি পঞ্চম রাত্রি যাপন করেছে এবং তুরভিয়ার রাতে জান্নাতে প্রবেশ করেছে।" আর আরাফের রাত, গরমের রাত, ফিতরের রাত এবং অর্ধ শা‍‍`বানের রাত।হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচ রাত জেগে থাকে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।