বাংলাদেশ সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

দুই পর্বে আয়োজিত হবে বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫, প্রথম পর্বের শুরু ৩১ জানুয়ারি

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম

দুই পর্বে আয়োজিত হবে বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫, প্রথম পর্বের শুরু ৩১ জানুয়ারি

বিশ্ব ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। যার সময়সূচি ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। প্রথম পর্বটি ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্বটি ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

বিশ্ব ইজতেমার পরিচিতি

বিশ্ব ইজতেমা তাবলিগ জামাতের বার্ষিক বৃহৎ সমাবেশ, যা বাংলাদেশে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। এটি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় ধর্মীয় সমাবেশ এবং প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। এবছর ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি একত্রিত হয়ে ধর্মীয় আলোচনা ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেবেন।

প্রস্তুতিমূলক বৈঠক ও আলোচনা

সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪, সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রস্তুতিমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের নেতৃবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা, এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, ইজতেমা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সবার সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও আলোচনা করা হবে। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক

বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতির জন্য বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিছু প্রধান বিষয় হলো:

আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ইজতেমার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। তদারকির জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন, নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো এবং বিভিন্ন এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। 

বিদেশি অতিথিদের ভিসা এবং নিরাপত্তা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসুল্লিদের জন্য ভিসা এবং ভিভিআইপি অতিথিদের নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থা: মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন এবং বাস সার্ভিস চালু করা হবে। পানির ওপর পন্টুন এবং ভাসমান ব্রিজ স্থাপন করা হবে।

বিদ্যুৎ, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা: ইজতেমাস্থলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশনের ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা: জরুরি চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন এবং চিকিৎসা প্রদানকারী দল নিয়োগ করা হবে। 

সামাজিক পরিবেশের উন্নতি ও অবৈধ স্থাপনা অপসারণ: ইজতেমাস্থলের আশেপাশে অবৈধ স্থাপনা ও বস্তি উচ্ছেদ এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া অশ্লীল পোস্টার ও ব্যানার অপসারণ করা হবে।

বিশেষ দিকনির্দেশনা

ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতি, মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলার বিষয়গুলোতে আরও কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপসংহার

বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এক মিলনমেলা, যা সারা বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

 

Link copied!

সর্বশেষ :