বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে হত্যার অভিযোগে জামায়াত কর্মীকে এক যুগ পর আদালতে মামলা

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ১২:৩৫ এএম

সিরাজগঞ্জে  হত্যার অভিযোগে জামায়াত কর্মীকে  এক যুগ পর আদালতে মামলা

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ওয়ারেছ আলীকে (৫৫) হত্যার অভিযোগে এক যুগ পর আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে নিহত ওয়ারেছ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এনায়েতপুর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।

আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি নাসির উদ্দিন মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের বিচারক ওমর ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা খান (বাচ্চু), সহসভাপতি রাসেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ আওয়ামী লীগের ৩০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আরও ৩৫ থেকে ৩৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু তালেব।
মামলার আরজিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর এনায়েতপুর থানার একজন সক্রিয় কর্মী ওয়ারেছ আলী ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোরে এনায়েতপুর হাটে কাপড় বিক্রি করতে যান। হাটের কাজ শেষে আল-আমিন নামে এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ির পথে রওনা হন তিনি। বেলা ১১টার দিকে এনায়েতপুর থানার দক্ষিণ পাশের সোনালী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ওয়ারেছ আলী ওপর আতর্কিত হামলা চালান। রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর সঙ্গে থাকা কাপড় বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ও মুঠোফোনটি তাঁরা ছিনিয়ে নেন। একপর্যায়ে তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আল-আমিনকে কিলঘুষি মেরে এনায়েতপুর থানার দিকে নিয়ে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ওয়ারেছকে উদ্ধার করে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল। এর পর আমাদের তারা এটা নিয়ে যেন কোনো প্রকার মামলা করা না হয়, সে জন্য হুমকি দিয়েছিল। যে কারণে নেতাদের ভয়ে আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শ অনুযায়ী, এত দিন মামলা করিনি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। এখন ন্যায়বিচারের আশায় আমি এই মামলা করেছি।’

Link copied!

সর্বশেষ :