আগামীকাল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যার দিকে মুখিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। একাধিক জরিপে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না শেষমেশ হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব কার হাতে যাবে। তবে নতুন একটি জরিপ রিপাবলিকানদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।
‘অ্যাটলাসইনটেল’ জরিপে ট্রাম্পের এগিয়ে থাকার আভাস
‘অ্যাটলাসইনটেল’ এর সাম্প্রতিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ‘সুইং স্টেট’-এ ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। এই জরিপে অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন যা কমলা হ্যারিসের তুলনায় ১.৮ শতাংশ বেশি। নভেম্বরের প্রথম দুদিনে সম্পন্ন হওয়া এই জরিপটিতে ২,৫০০ ভোটার অংশ নেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ভোটার। নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, যেসব প্রার্থী সুইং স্টেটগুলোতে এগিয়ে থাকেন তারাই সাধারণত নির্বাচনে জয়ী হন।
প্রতিটি সুইং স্টেটেই এগিয়ে ট্রাম্প
অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে যে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন -এই সাতটি সুইং স্টেটেই ট্রাম্প এগিয়ে আছেন।
- অ্যারিজোনায় ৫১.৯ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন, যেখানে হ্যারিস পেয়েছেন ৪৫.১ শতাংশ ভোটার সমর্থন।
- নেভাদায় ৫১.৪ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে বেছে নিয়েছেন এবং হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন ৪৫.১ শতাংশ।
- নর্থ ক্যারোলিনায় ট্রাম্প পেয়েছেন ৫০.৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন, যেখানে হ্যারিসের পক্ষে রয়েছেন ৪৬.৮ শতাংশ ভোটার।
রয়টার্স জরিপে তীব্র প্রতিযোগিতার আভাস
এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত রয়টার্সের জরিপে দেখা যায়, কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ভোটের ব্যবধান মাত্র ১ শতাংশ। রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেন ৪৪ শতাংশ ভোটার এবং ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন ৪৩ শতাংশ।
জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে হ্যারিসের মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে তার সমর্থন ছিল ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে। তবে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে হ্যারিসের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
রিপাবলিকানদের অনুকূল বিবিসি’র বিশেষ প্রতিবেদন
বিবিসি’র বিশেষ প্রতিবেদনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যের মধ্যে ছয়টিতে জয় নিশ্চিত হবে বলে আত্মবিশ্বাসী। এই নির্বাচনের ফলাফলে মার্কিন রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আসবে তা নিয়ে সারা বিশ্বে কৌতূহল এবং উত্তেজনা আকাশচুম্বী। তবে এখনো নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। দেখা যাক ৫ তারিখ কি ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :