বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অনেকটাই চূড়ান্ত হয়েছে। এই দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে ‘সমঝোতার’ ভিত্তিতে নতুন দুটি পদ সংযোজন করা হচ্ছে। আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠকের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নামে দুটি পদ রাখা হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সামনের সারিতে থাকা ছাত্রনেতারাই নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলোতে আসছেন। নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে তেমন কোনো মতবিরোধ ছিল না। তবে সদস্যসচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম নিয়ে কিছুটা আলোচনা ও সমঝোতা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নতুন দলের মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র হিসেবে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আলী আহসান জোনায়েদ এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নাম বিবেচনায় আছে।
শীর্ষ ছয়টি পদের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক রায়, মাহবুব আলম ও অলিক মৃ। এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।
দল গঠনের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন মতাদর্শের নেতা-কর্মীরা যুক্ত থাকলেও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের প্রভাব নিয়ে আলোচনা রয়েছে। বিশেষ করে, সদস্যসচিব পদের জন্য শিবিরপন্থি একাংশ তাদের ‘পছন্দের’ কাউকে বসানোর চেষ্টা করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সমঝোতার ভিত্তিতে আখতার হোসেনকেই সদস্যসচিব করা হয়েছে।
নতুন এই রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে, তবে বড় পরিসরে জনসমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা আপাতত নেই। নতুন দলের আত্মপ্রকাশ সামনে রেখে শতাধিক নেতার সমন্বয়ে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন একটি ছাত্রসংগঠনও আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। অনেকেই এটিকে নতুন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হিসেবে দেখলেও, সংগঠনের নেতারা বলছেন যে এটি স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবে।
এই নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হিসেবে জাহিদ আহসানের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে আসতে পারেন আবদুল কাদের ও সানজানা আফিফা অদিতি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মনে করছেন, আগামী এপ্রিল-মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হতে পারে। যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আবদুল কাদেরকে ভিপি এবং আবু বাকেরকে জিএস প্রার্থী করে নতুন ছাত্রসংগঠন প্যানেল ঘোষণা করতে পারে।
নতুন ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বের প্রায় সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বাধীন এই দল কীভাবে দেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে তরুণদের নিয়ে গঠিত এই দলটি আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।নতুন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অনেকটাই চূড়ান্ত হয়েছে। এই দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে ‘সমঝোতার’ ভিত্তিতে নতুন দুটি পদ সংযোজন করা হচ্ছে। আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠকের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নামে দুটি পদ রাখা হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সামনের সারিতে থাকা ছাত্রনেতারাই নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলোতে আসছেন। নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে তেমন কোনো মতবিরোধ ছিল না। তবে সদস্যসচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম নিয়ে কিছুটা আলোচনা ও সমঝোতা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নতুন দলের মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র হিসেবে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আলী আহসান জোনায়েদ এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নাম বিবেচনায় আছে।
শীর্ষ ছয়টি পদের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক রায়, মাহবুব আলম ও অলিক মৃ। এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।
দল গঠনের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন মতাদর্শের নেতা-কর্মীরা যুক্ত থাকলেও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের প্রভাব নিয়ে আলোচনা রয়েছে। বিশেষ করে, সদস্যসচিব পদের জন্য শিবিরপন্থি একাংশ তাদের ‘পছন্দের’ কাউকে বসানোর চেষ্টা করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সমঝোতার ভিত্তিতে আখতার হোসেনকেই সদস্যসচিব করা হয়েছে।
নতুন এই রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে, তবে বড় পরিসরে জনসমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা আপাতত নেই। নতুন দলের আত্মপ্রকাশ সামনে রেখে শতাধিক নেতার সমন্বয়ে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন একটি ছাত্রসংগঠনও আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। অনেকেই এটিকে নতুন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হিসেবে দেখলেও, সংগঠনের নেতারা বলছেন যে এটি স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবে।
এই নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হিসেবে জাহিদ আহসানের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে আসতে পারেন আবদুল কাদের ও সানজানা আফিফা অদিতি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মনে করছেন, আগামী এপ্রিল-মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হতে পারে। যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আবদুল কাদেরকে ভিপি এবং আবু বাকেরকে জিএস প্রার্থী করে নতুন ছাত্রসংগঠন প্যানেল ঘোষণা করতে পারে।
নতুন ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বের প্রায় সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বাধীন এই দল কীভাবে দেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে তরুণদের নিয়ে গঠিত এই দলটি আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :