জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ ফুচকা-চটপটির দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বটতলা এলাকায় কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিভিন্ন হারে চাঁদা দাবি করেন তাঁরা।
ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী ও ভুক্তভোগী দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী এসব দোকানদারের কাছে যান। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসা বন্ধ আছে বলে জানান। তবে তাঁদের প্রতিদিন এক হাজার বা দেড় হাজার টাকা করে দিলে নির্বিঘ্নে তাঁরা ব্যবসা করতে পারবেন এবং কোনো ধরনের সমস্যা হলে তাঁরা দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। তবে দোকানদারেরা তৎক্ষণাৎ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরে যেকোনো সময় টাকা নিতে আসবেন বলে জানান।
আরেক দোকানদার বলেন, ‘আমার দোকানে কয়েকজন এসে চা-পানি খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। তাঁরা বলেন, ব্যবসা–বাণিজ্য করছেন, আমাদের কিছু টাকাপয়সা দেন চা-পানি খাওয়ার জন্য। আমি তখন বলি, টাকাপয়সা এখন নেই। তাঁরা পরে যেকোনো সময় টাকা নিতে আসবেন বলে জানান।’
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। এখন যদি কেউ আমার নাম করে এমন কাজ করে থাকে, তাহলে কী বলব। আমি এমন কোনো কিছু করিনি। সবকিছু তো আপনারা জানেন, একজনের নাম বলে অন্যজন এমন কাজ করে।’
আপনার ছবি দেখালে দোকানদারেরা আপনাকে শনাক্ত করেছেন, এমন প্রশ্ন করলে রাব্বানী বলেন, ‘যদি তাঁরা বলেন, আমার কী করার আছে। আমি ছিলাম না, এসব মিথ্যা।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখব। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
আপনার মতামত লিখুন :