রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির সময় পুলিশ ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ চলাকালে ভুল ক্রমে এক রিকশাচালককে আটক করা হয়, যাকে সংগঠনের এক সদস্যকে মারতে দেখা গিয়েছিলেন।
এই খবর পেয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে মুক্ত করে নিয়ে যান। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি নিজ গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যান।
পরে জানা যায়, ওই রিকশাচালকের নাম আরমান। তিনি আগে রিকশা চালাতেন, বর্তমানে বায়তুল মোকাররম এলাকার দোকানগুলোর জন্য পানি সরবরাহের কাজ করেন। সংঘর্ষের সময় তিনি পুলিশকে সাহায্য করতে গেলে আহত হন এবং তাকে আটক করা হয়।
ডিবি অফিস থেকে মুক্তির পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে লেখেন, “৫ আগস্টের পর এই জনতাই দেশের সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে। প্রশাসনের অসহযোগিতা পূর্ণ পরিবেশে জনতার সাহায্য ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব ছিল না।" তিনি জানান, আরমান পুলিশের সহায়তা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও তাকে আটক করা হয়।
এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ আরমানের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ তার আটকের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :